তৃণমূলের জেলা সভাপতি খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, ‘‘সোমবার থেকে জেলাতে মানুষকে সঙ্গে নিয়ে নাগরিকত্ব আইন বাতিলের দাবিতে লাগাতার মিটিং মিছিল করব আমরা।
নয়া নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদ ও তা বাতিলের দাবিতে রবিবার বিকেলে মিছিল করল তৃণমূল। বড় মিছিল হয়েছে বাগদা ও বসিরহাটেও। তা ছাড়া জেলার বিভিন্ন জায়গাতেও ছোট মিছিল হয়েছে। অন্য দিকে এই আইনের পক্ষেও এ দিন মিছিল হয়েছে গোবরডাঙায়।
তৃণমূলের জেলা সভাপতি খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, ‘‘সোমবার থেকে জেলাতে মানুষকে সঙ্গে নিয়ে নাগরিকত্ব আইন বাতিলের দাবিতে লাগাতার মিটিং মিছিল করব আমরা। সোমবার মধ্যমগ্রাম থেকে বারাসত পর্যন্ত পথযাত্রা করা হবে। এ রাজ্যে আমরা নাগরিকত্ব আইন ও এনআরসি কোনও ভাবে চালু করতে দেব না। বাড়ি বাড়ি গিয়ে কর্মীরা মানুষকে বোঝাবেন।’’
ইতিমধ্যেই নতুন আইনের বিরোধিতা করেছেন সারা ভারত মতুয়া মহাসঙ্ঘের সঙ্ঘাধিপতি মমতা ঠাকুর। আইন বাতিলেরও দাবি তুলেছেন। যা তৃণমূল শিবিরকে স্বস্তি দিচ্ছে।অন্য দিকে, বিজেপির তরফেও এ দিন গোবরডাঙাতে সাংসদ শান্তনু ঠাকুরের নেতৃত্বে মিছিল বের করা হয়। নতুন নাগরিকত্ব আইনের জন্য প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানানো হয়েছে। বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, নতুন আইনের ফলে মতুয়া বা উদ্বাস্তুদের দীর্ঘদিনের দাবি ও স্বপ্নপূরণ হল। আইন নিয়ে তৃণমূল ও রাজ্য সরকার মানুষকে ভুল বোঝাচ্ছেন। শান্তনু বলেন, ‘‘নতুন নাগরিকত্ব আইন মতুয়া ও উদ্বাস্তু মানুষের পক্ষে একটা ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত। এর ফলে তাঁদের দীর্ঘদিনের দাবি পূরণ হয়েছে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘সম্পূর্ণ নিঃশর্ত ও নথিপত্র ছাড়াই উদ্বাস্তু মানুষেরা নাগরিকত্ব পাবেন। কিন্তু ওই আইন নিয়ে রাজ্য সরকার বাংলার ঐতিহ্য ও গৌরব যে ভাবে নীচে নামাচ্ছে তা অত্যন্ত লজ্জার। আজ আমরা তার প্রতিবাদে ধিক্কার মিছিলও করলাম।’’
বিজেপি নেতৃত্ব নাগরিকত্ব আইনকে সামনে রেখে মতুয়া ও উদ্বাস্তুদের মন পেতে তৎপরতা বাড়িয়েছে। অন্য দিকে, ওই আইনের বিরোধিতা করে এবং তা বাতিলের দাবিতে তৃণমূল নেতৃত্বও পথে নেমেছে। রাজনৈতিক মহল মনে করছেন, নাগরিকত্ব আইনের ফাঁকফোকর খুঁজে বের করে মতুয়া ও উদ্বাস্তুদের বোঝানোটাই জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের কাছে এখন বড় চ্যালেঞ্জ। বিজেপি নেতৃত্ব চাইছেন তাঁদের সাফল্য মতুয়াদের সামনে তুলে ধরতে। সব মিলিয়ে নাগরিকত্ব আইন নিয়ে এখন সরগরম জেলা রাজনীতি।