বাগদায় প্রার্থী নিয়ে জট কাটাতে বৃহস্পতিবার গোপালনগরে সিপিএম কার্যালয়ে আলোচনায় বসলেন স্থানীয় সিপিএম, কংগ্রেস ও ফরওয়ার্ড ব্লক নেতৃত্ব। আলোচনা শেষে সব পক্ষই আশাবাদী, প্রার্থী নিয়ে জট এ বার কাটতে চলেছে।
সূত্রের খবর, আলোচনায় বাগদা কেন্দ্রে কংগ্রেসের প্রার্থী হিসাবে দুলাল বরকে মেনে নিতে সব পক্ষই নীতিগত ভাবে রাজি হয়েছেন। সব দলই বিষয়টি তাঁদের রাজ্য নেতৃত্বকে জানাচ্ছেন। শহর কংগ্রেস সভাপতি কৃষ্ণপদ চন্দ বলেন, ‘‘সিপিএম, ফরওয়ার্ড ব্লক নেতৃত্বের সঙ্গে বৃহস্পতিবার আমাদের সদর্থক আলোচনা হয়েছে। আমরা দুলালবাবুকে প্রার্থী করার বিষয়ে আশাবাদী। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে বামফ্রন্ট ও কংগ্রেসের রাজ্য নেতৃত্ব।’’ সিপিএমের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য পঙ্কজ ঘোষ বলেন, ‘‘আমাদের মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ আলোচনা হয়েছে।’’ ফব জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য মৃত্যুঞ্জয় চক্রবর্তী বলেন, ‘‘আলোচনায় বসা হয়েছিল। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন রাজ্য নেতৃত্ব।’’
সম্প্রতি বামপ্রার্থী হিসাবে ফব নেতৃত্ব বাগদা কেন্দ্রে মৃণাল সিকদারের নাম ঘোষণা করেছেন। মঙ্গলবার মৃণালবাবুকে সামনে রেখে স্থানীয় হেলেঞ্চা বাজারে ফব কর্মী-সমর্থকেরা মিছিলের মাধ্যমে নির্বাচনী প্রচারও শুরু করে দিয়েছেন। সেখানে অবশ্য স্থানীয় সিপিএম নেতৃত্বের কেউ যোগ দেননি। কারণ হিসাবে সিপিএমের পক্ষ থেকে সমন্বয়ের অভাবের কথা জানানো হয়েছিল। তবে দলের অন্দরের খবর, দুলালবাবু কংগ্রেসে যোগ দেওয়ায় তাঁকেই প্রার্থী হিসাবে চাইছে কংগ্রেস ও সিপিএম। এই পরিস্থিতিতে প্রার্থী বদলের সিদ্ধান্ত ফরওয়ার্ড ব্লকের কোর্টেই চলে গিয়েছে অনেকখানি। সে সময়ে অবশ্য ফব নেতৃত্ব জানিয়েছিলেন, প্রার্থী বদলের কোনও সম্ভাবনা নেই। তারপরেও অবশ্য বৃহস্পতিবারের বৈঠকে জট কাটার ইঙ্গিত মিলেছে বলে দাবি করছেন তিন দলের নেতৃত্বের একাংশ।
সূত্রের খবর, বনগাঁ উত্তর কেন্দ্রেটি ফরওয়ার্ড ব্লকে দিয়ে বাগদা কেন্দ্রটি কংগ্রেসকে ছেড়ে দেওয়ার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে বৈঠকে। সব পক্ষই মনে করছেন, বাগদায় তৃণমূল প্রার্থী উপেন বিশ্বাসকে হারাতে গেলে একের বিরুদ্ধে এক প্রার্থী দেওয়া দরকার। সে ক্ষেত্রে দুলালবাবুই প্রথম পছন্দ হয়ে উঠেছে কংগ্রেস-সিপিএমের কাছে। এই চাপের সামনে ফরওয়ার্ড ব্লক নেতৃত্ব কতটা নমনীয় হন, এখন দেখার সেটাই।
আগ্নেয়াস্ত্র-সহ গ্রেফতার-২। ডাকাতির উদেশ্যে জড়ো হওয়া দুই দুষ্কৃতীকে ধরে ফেলল পুলিশ। বুধবার গভীর রাতে পারুলিয়া কোস্টালের কেয়াতলা মোড় থেকে আমির মোল্লা ও আক্রম মোল্লা নামে দুই দুষ্কৃতীকে ধরা হয়েছে। প্রথম জনের বাড়ি স্থানীয় পাটদহ গ্রামে অন্যজনের মহেশতলা এলাকায়। তাদের কাছে থেকে একটি গুলি-ভর্তি দেশি রিভলভার ও ছুরি উদ্ধার হয়েছে। ধৃতদের আজ ডায়মন্ড হারবার আদালতে তোলা হলে বিচারক ১৪ দিনের জেলহাজতের নির্দেশ দেন।