সংস্কার: চলছে কাজ। নিজস্ব চিত্র
ভোল বদলাচ্ছে বসিরহাট রবীন্দ্রভবন। তাকে আধুনিক প্রেক্ষাগৃহে পরিণত করা হচ্ছে। সংস্কারের কাজ চলছে জোরকদমে। শহরের সংস্কৃতিপ্রেমী মানুষের সুবিধার্থে প্রায় সাড়ে চার কোটি টাকা ব্যয়ে পুরনো ভবনের খোলনলচে বদলে একেবারে নতুন সাজে সেজে উঠতে চলেছে রবীন্দ্রভবন।
একটা সময়ে অনুষ্ঠান করার জন্য বসিরহাটের সংস্কৃতিপ্রেমীদের মানুষের হাতে ছিল শুধু টাউনহলের মঞ্চ। পরে তৈরি হয়েছিল বসিরহাট রবীন্দ্রভবন। হলটিতে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করতে গিয়ে শিল্পীরা দেখেন, আলো এবং শব্দের যে মান জরুরি, হলটিতে তা যথাযথ নেই। ফলে অনুষ্ঠান করতে গিয়ে নানা সমস্যায় মধ্যে পড়তে হত কলাকুশলীদের। অনুষ্ঠান চলাকালীন শব্দ যাতে হলের সর্বত্র সমান ভাবে পৌঁছয়, সে জন্য বিভিন্ন সময়ে সাউন্ড ইঞ্জিনিয়ারেরা চেষ্টা করেছেন। কিন্তু সফল হননি। তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর বসিরহাট পুরসভা হলটি নতুন করে গড়ে তোলার কাজ হাতে নেয়।
এ বিষয়ে বসিরহাট পুরসভার পুরপ্রধান তপন সরকার বলেন, ‘‘রবীন্দ্র ভবনকে সব দিক থেকে আধুনিক করে গড়ে তোলার চেষ্টা দীর্ঘদিনের। এ জন্য সীমান্ত এলাকা উন্নয়ন প্রকল্প থেকে ৪ কোটি ৩০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ হয়। প্রথম পর্যায়ে কাজের জন্য দেড় কোটি টাকার অনুমোদনও মেলে। ওই টাকায় পুরোদমে কাজ চলছে। আরও ২ কোটি ৭০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ হয়েছে।’’ তপন সরকারের কথায়, বসিরহাটে আধুনিক প্রেক্ষাগৃহের অভাব ছিল। তা নিয়ে এলাকার সংস্কৃতিপ্রেমী মানুষের আক্ষেপ ছিল। দীর্ঘকাল রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে রবীন্দ্র ভবনও ব্যবহারের অনুপযুক্ত হয়ে পড়েছিল।
তপন সরকারের সূত্রেই জানা গেল, নতুন রবীন্দ্র ভবন সম্পূর্ণ শীততাপ নিয়ন্ত্রিত হবে। আধুনিক আলো, শব্দের ব্যবস্থা থাকবে। ঢেলে সাজানো হচ্ছে দর্শকাসনও। হলের বাইরে পার্কের সৌন্দর্যায়ন করা হবে। এ সব করতে আরও প্রায় দশ মাস সময় লাগবে। বসিরহাট দক্ষিণের বিধায়ক দীপেন্দু বিশ্বাস বলেন, ‘‘বসিরহাটের মানুষের চাহিদার কথা মাথায় রেখেই রবীন্দ্র ভবনকে অত্যাধুনিক ভাবে গড়ে তোলা হচ্ছে। হলের মধ্যেই একটি স্থায়ী আর্ট গ্যালারি এবং প্রদর্শনী কক্ষও করা হবে।’’ বিধায়কের কথায়, বসিরহাটের প্রধান কেন্দ্র নতুন বাজারের সামনে টাউন হলকেও নতুন করে সাজানোর কাজ শীঘ্রই শুরু হবে।