বাইকের ধাক্কায় মৃত কিশোরী

পড়শি যুবকের মোটরবাইকের ধাক্কায় মৃত্যু হল এক কিশোরীর। রবিবার সন্ধ্যায় দুর্ঘটনাটি ঘটেছে জীবনতলার মুক্তারপুরে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃত কিশোরীর নাম সুপর্ণা নস্কর (১৬)। বাড়ি ওই এলাকায়। এই ঘটনায় সোমবার বিকেলে মোটরবাইক আরোহী বছর ষোলোর এক কিশোরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ক্যানিং শেষ আপডেট: ১৯ মে ২০১৫ ০০:৫২
Share:

মৃত কিশোরী।

পড়শি যুবকের মোটরবাইকের ধাক্কায় মৃত্যু হল এক কিশোরীর। রবিবার সন্ধ্যায় দুর্ঘটনাটি ঘটেছে জীবনতলার মুক্তারপুরে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃত কিশোরীর নাম সুপর্ণা নস্কর (১৬)। বাড়ি ওই এলাকায়। এই ঘটনায় সোমবার বিকেলে মোটরবাইক আরোহী বছর ষোলোর এক কিশোরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

Advertisement

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মা কবিতা নস্করের সুপর্ণা পাড়ার কল থেকে জল আনতে যাচ্ছিল। কিশোরীর পায়ে জুতো ঠিকঠাক না হওয়ায় একটি ফুটপাতের উপরে দাঁড়িয়ে মায়ের সঙ্গে জুতো বদলাচ্ছিল মেয়ে। এমন সময়ে উল্টো দিক থেকে আসা একটি মোটরবাইক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সুপর্ণাকে ধাক্কা মারে বলে অভিযোগ। ছিটকে পড়ে মেয়েটি। তার ওড়না মোটরবাইকের চাকায় জড়িয়ে যায়। মেয়েটিকে উদ্ধার করে রক্তাক্ত অবস্থায় স্থানীয় বাসিন্দারা খুচিতলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে পুলিশ ময়না-তদন্তের জন্য দেহ আনতে গেলে এলাকাবাসী এবং মেয়েটির পরিবার আপত্তি জানায়। কিশোরীর ময়না-তদন্তও করতে দিতে চায়নি তার পরিবার। পরে সিআই রতন চক্রবর্তী গিয়ে তাঁদের বুঝিয়ে দেহ ময়না-তদন্তের জন্য নিয়ে আসেন।

সুপর্ণার শোকার্ত বাবা-মা।

Advertisement

পুলিশ জানায়, মোটরবাইকে তিন জন ছিল। ওই কিশোর তার জামাইবাবুর মোটরবাইকটি চালাচ্ছিল। ছেলেটির জামাইবাবু জানান, নতুন মোটরবাইক চালানো শিখেছিল শ্যালক। তার দুই বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে ওই দিন মোটর বাইকে বেরিয়েছিল সে। কবিতাদেবী অবশ্য বলেন, ‘‘ইচ্ছাকৃত ভাবেই আমার মেয়েকে ধাক্কা মেরেছে ওই কিশোর।’’ এ বিষয়ে ক্যানিং ২ ব্লক সভাপতি তৃণমূলের সওকত মোল্লা বলেন, ‘‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যাই। তখন কবিতাদেবী এটি একটি দুর্ঘটনা বলে জানিয়েছিলেন। কিন্তু পরবর্তীতে আবার তিনিই এটিকে ইচ্ছাকৃত দুর্ঘটনা ঘটানো হয়েছে বলে দাবি করছেন। পুলিশকে বলেছি নিরপেক্ষ তদন্ত করে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে।’’

এলাকাবাসীরা জানিয়েছেন ছেলেটি এখানে থাকে না। সে কলকাতায় রঙের মিস্ত্রির কাজ করে। দু’দিন আগে কাকার বিয়ে উপলক্ষে বাড়ি ফিরেছে। প্রতিবেশী করুণা নস্কর বলেন, ‘‘আমরা কখনও ছেলেটির সম্পর্কে বাজে কিছু শুনিনি। মেয়েটিও ভাল ছিল। এ বার মেয়েটি মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছিল।’’ বিকাশ দাস নামে এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, ‘‘ছেলেটি নেহাতই কিশোর। ইচ্ছাকৃত ভাবে এই কাজ করতে পারে না বলেই মনে হয়। তা ছাড়া কখনও শুনিনি, মেয়েটিকে বিরক্ত সে করত। ছেলেটি তো এখানে থাকতই না।’’ জেলা পুলিশ সুপার প্রবীণকুমার ত্রিপাঠি বলেন, ‘‘মেয়েটির মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করা হয়েছে।’’ পুলিশ আরও দু’জনের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে।

—নিজস্ব চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement