Child Marriage

নিজের বিয়ে রুখে হোমে থেকে পড়াশোনা ছাত্রীর

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার বিকেলে হাসনাবাদ ব্লকের কন্যাশ্রী আধিকারিক প্রণব মুখোপাধ্যায়ের কাছে চাইল্ড লাইনের মাধ্যমে খবর আসে ভবানীপুর ২ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার এক ১৬ বছরের নাবালিকাকে বিয়ে দেওয়ার জন্য জোর করা হচ্ছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

হাসনাবাদ শেষ আপডেট: ০৫ ডিসেম্বর ২০২০ ০২:৪০
Share:

প্রতীকী ছবি।

বাড়ি থেকে জোর করে বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছিল। কিন্তু পড়তে চায় দশম শ্রেণির কিশোরীটি। চাইল্ড লাইনে সে কথা লিখিত ভাবে জানায় সে। সেই খবর পেয়ে কন্যাশ্রী ডেটা ম্যানেজার তাকে হোমে রেখে পড়াশোনার ব্যবস্থা করলেন। শুধু তাই নয় ১৮ বছর না হওয়া পর্যন্ত ওই ছাত্রী হোমে থেকেই পড়াশোনা করবে বলে তিনি জানান।

Advertisement

শুক্রবার ঘটনাটি ঘটেছে হাসনাবাদ থানার ভবানীপুর ২ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার বিকেলে হাসনাবাদ ব্লকের কন্যাশ্রী আধিকারিক প্রণব মুখোপাধ্যায়ের কাছে চাইল্ড লাইনের মাধ্যমে খবর আসে ভবানীপুর ২ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার এক ১৬ বছরের নাবালিকাকে বিয়ে দেওয়ার জন্য জোর করা হচ্ছে। খবর পেয়ে প্রণব ওই নাবালিকার বাড়িতে যান। নাবালিকা লিখিত ভাবে ব্লক প্রশাসনকে জানায়, সে দশম শ্রেণির ছাত্রী। সে আরও পড়াশোনা করতে চায়।

Advertisement

তবে তার বাড়ি থেকে চাপ দেওয়া হচ্ছে দ্রুত বিয়ের জন্য। তাই সে সরকারি হোমে থেকে পড়াশোনা করতে আগ্রহী। নাবালিকার বাবা নেই। মা ও দাদা রয়েছে বাড়িতে। ওই ছাত্রী ব্লক প্রশাসন ও পুলিশের সামনে হোমে যেতে চাওয়ায় তার পরিবারও আপত্তি করতে পারেনি। তাঁরাও সম্মতি দেন। এরপর বৃহস্পতিবার রাতে হাসনাবাদ থানায় রাখা হয় ওই ছাত্রীকে।

প্রণব বলেন, “শুক্রবার চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটির কাছে পেশ করা হয় ওই ছাত্রীকে।সেখান থেকে তাকে বারাসতের একটি সরকারি হোমে পাঠানো হয়েছে। ১৮ বছর না হওয়া পর্যন্ত ওখানে থেকে পড়াশোনা করবে।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement