crime

কিশোরীকে হাত-পা বেঁধে গণধর্ষণের নালিশ, ধৃত

বৃহস্পতিবার বসিরহাটের এসিজেএমের আদালতে তোলা হয়। বিচারক তাদের ৪ দিনের জন্য পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন। তিন যুবক অবশ্য অভিযোগ মিথ্যা বলেই দাবি করেছে পুলিশের কাছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা 

বাদুড়িয়া শেষ আপডেট: ১৯ জুন ২০২০ ০৫:৩৮
Share:

প্রতীকী চিত্র

নাবালিকাকে অপহরণ করে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠল তিন বন্ধুর বিরুদ্ধে। বুধবার সন্ধ্যায় এই ঘটনায় বাদুড়িয়া থানার পুলিশ অভিযুক্তদের গ্রেফতার করেছে। অসুস্থ মেয়েটিকে পাঠানো হয়েছে হাসপাতালে।

Advertisement

পুলিশ জানায়, ধৃতদের বয়স ২২-২৪ বছর। ওই নাবালিকা ও তার দাদার লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত রাহুল দে, আকাশ হোসেন এবং ইমরান হোসেনকে গ্রেফতার করে বৃহস্পতিবার বসিরহাটের এসিজেএমের আদালতে তোলা হয়। বিচারক তাদের ৪ দিনের জন্য পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন। তিন যুবক অবশ্য অভিযোগ মিথ্যা বলেই দাবি করেছে পুলিশের কাছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বাদুড়িয়ার গ্রামে থাকে বছর সতেরোর মেয়েটি। স্থানীয় একটি স্কুলে নবম শ্রেণিতে পড়ে সে। সম্প্রতি মোবাইলের মাধ্যমে তার পরিচয় হয় আনারপুরের বাসিন্দা রাহুলের সঙ্গে। বুধবার বিকেল ৪টে নাগাদ বাইকে করে মেয়েটির বাড়ির সামনে আসে রাহুল। পাশের গ্রামে একজনের বাড়িতে যাওয়ার কথা ছিল মেয়েটির। রাহুল তাকে পৌঁছে দেবে বলে। মেয়েটি উঠে পড়ে বাইকে। পুলিশের কাছে দায়ের করা অভিযোগে মেয়েটির দাবি, বাইক খানিকটা এগোতেই বড় রাস্তার মোড় থেকে রাহুলের ‘বন্ধু’ পরিচয় দিয়ে আর এক যুবক বাইকে ওঠে। কিছুটা এগোতেই পিছনে বসা ছেলেটি ওড়না দিয়ে মুখ চেপে ধরে মেয়েটির।

Advertisement

ওই যুবকেরা মেয়েটিকে মাগুরখালি গ্রামের একটি আমবাগানে নিয়ে যায়। সেখানেই হাত-পা বেঁধে তাকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। সে সময়ে আরও একজনকে ওই যুবকেরা ডেকে নেয় বলে জানিয়েছে কিশোরী। পুলিশ জানতে পেরেছে, মুখের কাপড় সরিয়ে মেয়েটি কোনও মতে চিৎকার করে ওঠে।

শুনতে পেয়ে আশেপাশের মানুষজন বেরিয়ে আসেন। মেয়েটিকে ফেলে পালায় তিন যুবক। গ্রামের মানুষের কাছ থেকে খবর পেয়ে বাদুড়িয়া থানার পুলিশ গিয়ে অসুস্থ মেয়েটিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। অভিযোগ পেয়ে শুরু হয় তল্লাশি। রাতে বাদুড়িয়ার একটি জায়গা থেকে পুলিশ তিনজনকে গ্রেফতার করে। পুলিশ জানায়, ধৃতেরা সকলেই মুরগির গাড়ির চালক। মেয়েটির দাদা বলেন, ‘‘আমরা অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement