bakkhali

বকখালির ঝাউবনে আগুন

ঘণ্টা তিনেকের চেষ্টায় সন্ধের পরে আগুন কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসে বলে জানিয়েছেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার ডিএফও মিলন মণ্ডল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বকখালি শেষ আপডেট: ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ০৬:৩৩
Share:

পুড়ে গিয়েছে ঝাউ-সহ অন্যান্য গাছ। নিজস্ব চিত্র

পর্যটকেরা তখন ঘোরাঘুরি করছিলেন সমুদ্র সৈকতে। হঠাৎই দূরে ঝাউবনের জঙ্গলে দেখা গেল ধোঁয়া, আগুনের হলকা। দ্রুত সেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে প্রায় দু’কিলোমিটার অংশে। পুড়েছে বহু ঝাউ এবং অন্যান্য গাছ।

Advertisement

সোমবার বিকেলে ৪টে নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বকখালিতে। বন দফতর, সিভিল ডিফেন্স, ফ্রেজারগঞ্জ কোস্টাল থানার পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দারা আগুন নেভানোর কাজ শুরু করেন। জলের অভাবে সাদা বালি ছিটিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা চলে। দমকলের একটি ইঞ্জিন পৌঁছলেও ঝাউয়ের জঙ্গলে ঢুকতে পারেনি।

ঘণ্টা তিনেকের চেষ্টায় সন্ধের পরে আগুন কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসে বলে জানিয়েছেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার ডিএফও মিলন মণ্ডল। কী ভাবে আগুন লাগল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

Advertisement

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, বিশালাক্ষী মন্দির-লাগোয়া বনাঞ্চলের দিকে পর্যটকদের ভিড় কমই থাকে। ওই অঞ্চলেই আগুন লাগে। সমুদ্রতটে সিভিল ডিফেন্সের কয়েক জন কর্মীর তা নজরে পড়ে। ১৬ জনের একটি দল দ্রুত পৌঁছে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে। প্রায় দু’কিলোমিটার এলাকায় আগুন ছড়িয়ে পড়ে। মিলন বলেন, ‘‘আগুন কিছুটা আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও বহু গাছের শুকনো গুঁড়ি এখনও জ্বলছে। দমকল ভিতরে ঢোকার চেষ্টা করছে। অন্য উপায়েও আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা হচ্ছে।’’

কলকাতা থেকে বেড়াতে এসেছেন তুহিন ঘোষ। তিনি বলেন, ‘‘বিকেলের দিকে সমুদ্রতটে হাঁটছিলাম। হঠাৎ প্রশাসনের লোকজনের ছোটাছুটি দেখতে পেলাম। আগুন আগুন বলে চিৎকার শুনলাম। দেখি, ঝাউয়ের জঙ্গল জ্বলছে। কাছাকাছি থাকা সব পর্যটককে হোটেলে ফিরে যেতে বলা হয়।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement