এখানেই তৈরি হচ্ছে নতুন ভবন। নিজস্ব চিত্র।
নতুন করে তৈরি হচ্ছে স্বরূপনগর থানা। রাজ্য সরকারের অর্থে তৈরি হচ্ছে থানার নতুন অফিস, পুলিশ ব্যারাক, ক্যান্টিন এবং মহিলা পুলিশকর্মীদের বিশ্রামের ঘর।
উত্তর ২৪ পরগনা জেলার পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘জেলায় সব থানাতেই মহিলা পুলিশকর্মীদের বিশ্রাম ঘর এবং শৌচাগার তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। তৈরি হচ্ছে থানার নতুন অফিস।’’
পুলিশ এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, স্বরূপনগর থানা আগে একতলা ছিল। সেখানেই ছিল অফিস এবং পুলিশ কর্মীদের থাকার জন্য ব্যারাক। মেরামতির অভাবে অফিস এবং ব্যারাক দু’টোরই এখন বেহাল দশা। দেওয়ালের পলেস্তারা খসে গিয়েছে। ছাদ দিয়ে জল পড়ে। সামান্য বৃষ্টিতেই ঘরের মধ্যে জল জমে যায়। এক পুলিশকর্মীর কথায়, ‘‘একটু বৃষ্টি হলেই বিছানা, মাদুর নিয়ে ঘরের কোণে গিয়ে রাত জাগতে হয়। ঝড় উঠলে ঘরের চাল মচমচ করে। রয়েছে সাপের উপদ্রব। তাই আমরা দীর্ঘদিন ধরেই নতুন অফিস এবং ব্যারাকের জন্য আবেদন করছিলাম।’’
জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সীমান্তবর্তী স্বরূপনগর থানায় নতুন বাড়ি, ব্যারাক, ক্যান্টিন তৈরি করতে খরচ হবে প্রায় ৩ কোটি টাকা। এই টাকা বরাদ্দ হয়েছে পুলিশ বাজেটের অর্থে। পুরনো একতলা থানা বাড়ির সামনের অংশ ভেঙে তৈরি হচ্ছে তিন তলা বাড়ি। সেখান থেকে থানার কাজ চলবে। থানার পিছনে হচ্ছে এক তলা ক্যান্টিন। থানা সংলগ্ন জমিতে হচ্ছে দু’তলা পুলিশ ব্যারাক। পুলিশ কর্তাদের দাবি, মাস পাঁচেকের মধ্যে পুরো কাজ শেষ হওয়ার কথা। তবে নতুন পুলিশ ব্যারাকটি ২ মাসের মধ্যে থাকার উপযুক্ত হয়ে যাবে। থানার মধ্যে থাকবে বড় লক আপ, মালখানা, পুলিশ কর্তাদের বসার আলাদা ঘর এবং মহিলা পুলিশকর্মীদের বিশ্রাম নেওয়ার আলাদা জায়গা।
শুধু স্বরূপনগর থানাই নয়, এই থানার অন্তর্গত চারঘাট পুলিশ ফাঁড়িটিকে নতুন করে তৈরি করা হচ্ছে। এর জন্য জেলা পরিষদ থেকে বরাদ্দ করা হয়েছে ১৫ লক্ষ টাকা। চারঘাট পুলিশ ফাঁড়ির সাব ইনস্পেটর অনুপ ঘোষ বলেন, ‘‘ফাঁড়ির জন্য নতুন বাড়ি তৈরির কাজ প্রায় শেষের পথে। সেখানে লক আপ, অফিসারের বসার ঘর এবং বিশ্রাম নেওয়ার ঘর তৈরি হচ্ছে।’’