ক’দিন আগে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ মামুদ হোসেন দল ছেড়ে যোগ দিয়েছেন বাম দল ডিএসপিতে। বামেদের মধ্যে দল ছেড়ে যাওয়ার যে প্রবণতা গত কয়েক বছরে তাদের রীতিমতো ভুগিয়েছে, এ বার জোটের আবহে তা কিছুটা হলেও মেরামত করা যাচ্ছে বলে মনে করছেন দলের নেতারা। তৃণূল ছেড়েও কেউ কেউ যোগ দিচ্ছেন বাম শিবিরে।
মঙ্গলবার সিপিএমের সভা ছিল মগরাহাটের থানার মোড়ে। মগরাহাট পূর্ব কেন্দ্রের চন্দন সাহার সমর্থনে এসেছিলেন সিপিএমের দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা সম্পাদক সুজন চক্রবর্তী। সিপিএমের দাবি, সেখানে হাজার দেড়েক তৃণমূল নেতা-কর্মী-সমর্থক সিপিএমে যোগ দিয়েছেন।
সুজনবাবু বলেন, ‘‘শাসক দলের লোকই তাদের নিজেদের দলের লোককে খুন করছে, অত্যাচার করছে। যে আশা নিয়ে ওরা তৃণমূল করছিলেন, তা পূরণ হয়নি। সে কারণেই আমাদের দলে এলেন।’’
যাঁরা এ দিন তৃণমূল ছেড়ে সিপিএমে এলেন বলে দাবি বামেদের, তাঁদের মধ্যে আছেন প্রাক্তন পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতির কয়েকজন সদস্যও। তৃণমূলের প্রাক্তন ব্লক যুব সভাপতি আলমগীর গাজিও এ দিন যোগ দিয়েছেন সিপিএমে। তিনি বলেন, ‘‘এলাকায় উন্নয়নের সুবিধা পেতে হলে টাকা দিতে হয় দলের নেতাদের। বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পে স্বজনপোষণ চলে। এ সব কারণেই আমরা দল ছেড়েছি।’’
দলত্যাগের কথা অবশ্য মানতে চাইছেন না স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। বিদায়ী বিধায়ক তথা এ বারের ওই কেন্দ্রের প্রার্থী নমিতা সাহা আলমগীর প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘ও তো গিরগিটি। যখন খুশি দল বদল করে। আমাদের দলের অন্য কেউ সিপিএমে যোগ দেয়নি। ওরা যে দাবি করছে, তা মিথ্যা।’’