হতাশ: এই নোটিস দেখেই ফিরতে হচ্ছে দিনের পর দিন। নিজস্ব চিত্র
লিঙ্ক না থাকার সমস্যা তীব্র হয়ে উঠেছে হিঙ্গলগঞ্জ সাব পোস্ট অফিসে। যখনই গ্রাহকেরা আসছেন, দেখছেন ‘লিঙ্ক নেই’ বলে লিখে দেওয়া হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রের খবর, প্রায় দু’বছর ধরে ব্লকের গুরুত্বপূর্ণ এই সাব পোস্ট অফিস লিঙ্ক না থাকার সমস্যায় ভুগছে। তবে আমপানের পর থেকে লিঙ্ক একদমই থাকছে না বলে অভিযোগ। ফলে চিঠিপত্র ছাড়া আর্থিক লেনদেন সবই কার্যত বন্ধ হয়ে গিয়েছে। কিছু জরুরি কাজ পোস্ট অফিসের কর্মীরা বসিরহাট অফিসে গিয়ে সেরে আসেন বলেও জানা গেল। তবে গ্রাহকদের চূড়ান্ত হয়রান হতে হচ্ছে। সামান্য কাজের জন্য এক এক জন গ্রাহককে এই করোনা পরিস্থিতির মধ্যে বার বার বহু দূর থেকে টাকা খরচ করে এসে কাজ না মিটিয়ে ফিরে যেতে হচ্ছে। যোগেশগঞ্জের বাসিন্দা হরিপ্রসাদ মণ্ডল নামে এক গ্রাহক বলেন, ‘‘টাকার খুব প্রয়োজন। তাই যোগেশগঞ্জ থেকে গাড়ির সমস্যার মধ্যেও পাঁচবার এই পোস্ট অফিসে এসেছি। যাতায়াত করতে করতে ৫০০ টাকা শেষ। তবুও টাকা তুলতে পারলাম না।” বিশপুর পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দা মীরা সরকার জানালেন, বার চারেক এসেও টাকা তুলতে না পেরে ফিরে গিয়েছেন।
সব মিলিয়ে প্রতিদিন ৫০-৬০ জন করে গ্রাহক বিভিন্ন প্রয়োজনে এসে ফিরে যাচ্ছেন এই পোস্ট অফিস থেকে। এখানে গ্রাহকের সংখ্যা প্রায় ১০ হাজার। এ ছাড়া, এটি সাব পোস্ট অফিস হওয়ায় এর উপরে নির্ভরশীল বিভিন্ন পঞ্চায়েত এলাকার ১২টি ব্রাঞ্চ পোস্ট অফিস। এই সাব পোস্ট অফিসে লিঙ্ক না থাকায় ব্রাঞ্চ পোস্ট অফিসগুলি থেকেও গ্রাহকেরা বারবার এসে ফিরে যাচ্ছেন নতুন পাসবই খুলতে না পেরে।
এ ছাড়া, ব্রাঞ্চ পোস্ট অফিস থেকে বেশি টাকা তুলতে গেলে সাব পোস্ট অফিসের অনুমোদন লাগে। সেটাও লিঙ্কের সমস্যা থাকায় দেওয়া যাচ্ছে না। সাব পোস্ট অফিসে লিঙ্ক না থাকায় এনএসসি, সুকন্যা সমৃদ্ধি যোজনা, কিসান বিকাশপত্র সহ বিভিন্ন প্রকল্পের লেনদেন বন্ধ। এমনকী, রেকারিং ডিপোজিট পিএলআই, আরপিএলআই-তে যে সব গ্রাহক মাসিক প্রিমিয়াম জমা দিতে পারছেন না, তাঁদের উল্টে ফাইনও দিতে হবে বলে জানা গিয়েছে।
লিঙ্কের এই সমস্যা কবে মিটবে এ বিষয়ে হিঙ্গলগঞ্জ জোনের দায়িত্বে থাকা অভিজিৎ দাসের সঙ্গে টেলিফোনে বারবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও সম্ভব হয়নি।