ফাইল চিত্র।
জনস্বাস্থ্য নিয়ে প্রচারের সময় তিন ছাত্র-সহ চার জনকে আটক করেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বকুলতলা থানার পুলিশ। এমনই অভিযোগ মানবাধিকার সংগঠন এপিডিআর-এর। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত এ নিয়ে পুলিশের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
বকুলতলা থানা এলাকায় জনস্বাস্থ্য নিয়ে প্রচার করছিলেন তিন পড়ুয়া। রবিবার সন্ধ্যায় জীবনতলা হাটের কাছে প্রচার শেষ করে বাবলু হালদার নামে মায়াহাউড়ি এলাকার এক বাসিন্দার বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছিলেন তাঁরা। আচমকা রাতের অন্ধকারে ওই ছাত্রদের মারধর করে পুলিশ থানায় নিয়ে যায় বলে অভিযোগ এপিডিআর-এর। আরও অভিযোগ, বাড়ির মালিককেও আটক করা হয়। এপিডিআর-এর দাবি, রবিবার রাত থেকে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র তীর্থরাজ ত্রিবেদী এবং ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়া অ্যালফ্রেড ডিক্রুজ-সহ মোট চার জনকে আটক করে রাখা হয়েছে থানায়। সোমবার তাঁদের ছেড়ে দেওয়ার কথা বললেও আদতে তা করা হয়নি বলেও অভিযোগ ওই মানবাধিকার সংগঠনটির। এপিডিআর নেতৃত্ব থানায় উপস্থিত হন। কিন্তু পুলিশের কাছ থেকে কোন সদুত্তর পাওয়া যায়নি বলেও ওই সংগঠনের অভিযোগ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, তীর্থরাজ এবং অ্যালফ্রেড-সহ তিন পড়ুয়া ‘শ্রমিক-কৃষক একতা মঞ্চ’ নামে একটি সংগঠনের তরফে জয়নগরের বিভিন্ন এলাকায় জনস্বাস্থ্য নিয়ে প্রচার চালাচ্ছিলেন। সম্প্রতি তাঁরা জয়নগর দুই নম্বর ব্লকের মায়াহাউড়ি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের উন্নয়নের দাবিতে জনমত তৈরি করছিলেন। কিছু দিন আগে গণস্বাক্ষর সংগ্রহ করে ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিকের কাছে স্মারকলিপিও জমা দেন তাঁরা। এপিডিআর-এর দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা কমিটির সম্পাদক আলতাফ আহমেদ এ বিষয়ে বলেন, ‘‘কোনও অভিযোগ ছাড়াই তিন পড়ুয়া তথা সমাজকর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। জোর করে তাঁদের আটক করা হয়েছে। কেন তাঁদের সঙ্গে এই ব্যবহার করেছে পুলিশ? মঙ্গলবার তাঁদেরকে না ছাড়া হলে আমরা আন্দোলনের পথে হাঁটব।’’
এ নিয়ে বকুলতলা থানার ওঅফিসার ইন চার্জ অভিজিৎ পালের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘‘এ ব্যাপারে আমি কোনও মন্তব্য করব না। যা বলার পুলিশ সুপার বলবেন।’’ আনন্দবাজার অনলাইনের তরফে বারুইপুর পুলিশ জেলার সুপার বৈভব তিওয়ারির সঙ্গে বার বার যোগাযোগ করা হয়। তবে কোনও জবাব মেলেনি।