Shahjahan Sheikh

শাহজাহানের জন্য সওয়াল করতে দিল্লি থেকে এলেন আইনজীবী, তবে জামিন মিলল না, আবেদন খারিজ

সন্দেশখালিকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত শাহজাহান শেখের মামলার শুনানি ছিল বসিরহাট মহকুমা আদালতে। তাঁর আইনজীবী জামিনের আবেদন জানিয়েছিলেন। কিন্তু তা খারিজ হয়ে গিয়েছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১০ জুলাই ২০২৪ ২১:২২
Share:

সন্দেশখালিকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত শাহজাহান শেখ। —ফাইল চিত্র।

সন্দেশখালিকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত শাহজাহান শেখের জামিনের আবেদন খারিজ করে দিয়েছে বসিরহাট মহকুমা আদালত। বুধবার মামলাটির শুনানি ছিল আদালতে। শাহজাহানের আইনজীবী জামিনের আবেদন জানিয়েছিলেন। কিন্তু বিচারক তা খারিজ করে দিয়েছেন। ফলে জেলেই থাকতে হচ্ছে শাহজাহানকে। আগামী ১৯ জুলাই তাঁর মামলার পরবর্তী শুনানি। এই মামলায় লড়ার জন্য দিল্লি থেকে আইনজীবী এনেছিলেন শাহজাহান। তবে তাতে লাভ হয়নি।

Advertisement

শাহজাহানের মামলাটি বসিরহাট আদালতে উঠেছিল মঙ্গলবার। সে দিনই জামিনের আবেদন জানিয়েছিলেন তাঁর আইনজীবী। অন্য দিকে, সিবিআইয়ের আইনজীবী এই জামিনের বিরোধিতা করেন। উভয় পক্ষের বক্তব্য শুনেছিলেন বিচারক। তবে মঙ্গলবার শুনানি স্থগিত রেখে তিনি জানান, বুধবার আবার এই মামলাটি শুনবেন। বুধবার জামিন খারিজ করেছেন তিনি।

জামিনের মামলায় আইনজীবী বদল করেছেন শাহজাহান। এত দিন বসিরহাটের আইনজীবী তাঁর জামিনের মামলাটি লড়ছিলেন। এখন দিল্লি থেকে এই মামলা লড়তে আইনজীবী এসেছেন। তিনিই মঙ্গলবার বসিরহাটের আদালতে জামিনের আবেদন জানিয়েছিলেন। কিন্তু আইনজীবী বদল করেও জামিন পেলেন না শাহজাহান।

Advertisement

শাহজাহান বর্তমানে প্রেসিডেন্সি জেলে রয়েছেন। শুনানির জন্য বসিরহাটে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়নি। আইনজীবীদের মাধ্যমেই আদালতে নিজের বক্তব্য রেখেছিলেন তিনি।

রেশন ‘দুর্নীতি’ মামলায় জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক গ্রেফতার হওয়ার পর তাঁর সূত্র ধরেই শাহজাহানের নাম পায় ইডি। সন্দেশখালিতে তাঁর বাড়িতে তল্লাশি চালাতে গিয়েছিল কেন্দ্রীয় সংস্থা। কিন্তু ইডি আধিকারিকেরা প্রথম দিন শাহজাহানের বাড়িতে ঢুকতেই পারেননি। উল্টে তাঁর অনুগামীদের হাতে মার খেতে হয়েছিল ইডিকে। সেই থেকে দীর্ঘ দিন শাহজাহান পলাতক ছিলেন। সন্দেশখালিতে তাঁর গ্রেফতারির দাবি তুলে পথে নেমেছিলেন গ্রামবাসীরা। দিনের পর দিন বিক্ষোভে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল এলাকা। অভিযোগ, গ্রামবাসীদের বিঘা বিঘা জমি জবরদখল করে মাছের ভেড়ি বানিয়েছেন শাহজাহান। তাঁর বিরুদ্ধে অত্যাচার, মারধর এবং মহিলাদের শ্লীলতাহানির অভিযোগও ছিল। দীর্ঘ দিন পরে রাজ্য পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে ইডির হাতে তুলে দেয়। তাঁকে হেফাজতে নিয়েছিল সিবিআইও। তৃণমূলের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন শাহজাহান। পরে দল তাঁকে ছ’বছরের জন্য সাসপেন্ড করে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement