বিপত্তি: বসিরহাটের জলমগ্ন পথে পড়ে গেলেন বৃদ্ধ। শনিবার। ছবি: নির্মল বসু
দু’দিনের টানা বর্ষায় জলবন্দি হয়ে পড়েছে ডায়মন্ড হারবার পুরসভা এলাকার বেশ কয়েকটি ওয়ার্ড। নর্দমার জমা জল ঘরে ঢুকে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। দ্রুত জল না নামলে মশা-মাছির উপদ্রব বাড়বে বলে আশঙ্কা করছেন বাসিন্দারা।
এই পুরসভায় ১৬টি ওয়ার্ড। তার মধ্যে ১ নম্বর ওয়ার্ড ছাড়াও ৭ থেকে ১৩ নম্বর ওয়ার্ডগুলিতে রাস্তাঘাট উপচে বাড়ির বারান্দাতে জল উঠেছে। ইতিমধ্যে কয়েকটি ওয়ার্ডে মাটির বাড়ি ভেঙেছে। এখনও পর্যন্ত ত্রাণশিবির না খোলা হলেও প্রশাসন সজাগ রয়েছে। বর্তমানে প্রশাসনের অধীনে পুরসভা চলায় পুরসভার কর্মী ও মহকুমাশাসকের পক্ষ থেকে কর্মীরা বিভিন্ন ওয়ার্ডে গিয়ে খোঁজখবর শুরু করেছে। ত্রাণশিবির চালানোর জন্য সমস্ত রকম খাবার ত্রিপল মজুত রয়েছে বলে জানানো হয়েছে।
জল নিকাশির জন্য স্টেশন বাজারের কাছ থেকে নগেন্দ্র বাজার পর্যন্ত পাকা নালা রয়েছে। কিন্তু ওই নালা দীর্ঘ দিন ধরে সংস্কার না হওয়ায় এবং নালার উপরে বেআইনি দখল করে অনেকাংশে মুখ বন্ধ হয়ে গিয়েছে। জল নামতে সময় লাগছে।
বিজেপি নেতা দেবাংশু পন্ডার দাবি, পুরসভার গাফিলতিতেই জল জমেছে। নাকাল হচ্ছেন পুরবাসী। নোংরা দুর্গন্ধযুক্ত জল থেকে মশা মাছির উপদ্রব বেড়েছে। আদালত চত্বরেও জল জমেছে। একই অভিযোগ ডায়মন্ড হারবারের সিপিএম নেতা সমর নাইয়ার। তাঁর দাবি, এলাকায় জলাশয় ভরাট করে তৈরি হচ্ছে পার্ক। এমনকী সরকারি জমি দখল করে বাড়ি নির্মাণ হচ্ছে পুরসভার মদতে। নিউটাউন এলাকায় নালা বুজিয়ে ফেলা হয়েছে।
এ সব অভিযোগ মানতে নারাজ বিদায়ী পুরপ্রধান মীরা হালদার। তিনি বলেন, ‘‘কিছু কিছু জমি জোর করে দখল হলেও আমরা পুরসভায় ক্ষমতা থাকাকালীন তা উচ্ছেদ করেছি। তবে পুরনো দিনের নিকাশি নালা দীর্ঘ দিন সংস্কার না হওয়ায় এবং নতুন করে নালা তৈরি না হওয়ায় সমস্যা হচ্ছে।’’ জমা জল দ্রুত নেমে যাবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। ডায়মন্ড হারবারের মহকুমাশাসক সুকান্ত সাহা বলেন, ‘‘জল নেমে যাওয়ার জন্য কয়েকটি লকগেট খুলে দেওয়া হয়েছে। নিকাশি নালার উপরে নজর দেওয়া হচ্ছে, যাদের দ্রুত জল বের করে দেওয়া যায়। পুরসভার বাসিন্দাদের যাতে সমস্যা না হয়, নজরদারি চালানো হচ্ছে।’’