জীবনতলার বেগম রোকেয়া কলেজ মাঠে তৈরি করা হয়েছে স্টেডিয়াম।
এলাকায় খেলাধুলোর চল রয়েছে ভালই। বিশেষ করে ফুটবল নিয়ে গ্রামবাসীদের উন্মাদনা কম নয়। কিন্তু এতদিন জীবনতলায় কোনও স্টেডিয়াম বা ভাল মাঠ না থাকায় ক্রীড়াপ্রেমীদের আক্ষেপের অন্ত ছিল না। অবশেষে স্থানীয় বিধায়ক সওকাত মোল্লা ও সাংসদ প্রতিমা মণ্ডলের তহবিলের টাকায় জীবনতলার বেগম রোকেয়া কলেজ মাঠে তৈরি হল কংক্রিটের গ্যালারিযুক্ত স্টেডিয়াম। খেলাধুলোর মানোন্নয়নে এই স্টেডিয়াম কার্যকর ভূমিকা নেবে বলেই আশা স্থানীয় মানুষজনের।প্রশাসনের একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, ৮০০ ফুট লম্বা ২৬ ফুট চওড়া তিনটি গ্যালারিযুক্ত স্টেডিয়াম তৈরি করতে খরচ হয়েছে প্রায় দেড় কোটি টাকা।
বিধায়ক বলেন, ‘‘অনেক প্রতিভাবান ফুটবলার এই এলাকায় রয়েছে। কিন্তু সুযোগের অভাবে তারা উপরে উঠতে পারছে না। আমার এলাকায় ফুটবলের মানোন্নয়ন ঘটাতে প্রতি বছর এমএলএ কাপ ফুটবল প্রতিযোগিতার আয়োজন করি। এই স্টেডিয়াম তৈরির ফলে এখানে অনেক বড় প্রতিযোগিতার আয়োজন করা সম্ভব হবে। আশা করি, এর ফলে এলাকা থেকে নতুন খেলোয়াড় উঠে আসবে।’’হাওড়ামারির দুই যুবক নাজমুল মোল্লা ও ইনজামুল মোল্লা কলকাতায় প্রথম ডিভিশনে ফুটবল খেলছেন। ইনজামুল চোট পাওয়ায় বর্তমানে খেলতে পারছেন না। তবে, নাজমুল কলকাতায় এখনও খেলা চালিয়ে যাচ্ছেন। প্রতি বছর ক্যানিং পূর্ব বিধানসভার বিধায়ক সওকাতের উদ্যোগে এমএলএ কাপ ফুটবল প্রতিযোগিতায় বাইরে থেকে বহু নামী খেলোয়াড় যোগ দেন। প্রতি বছরই প্রায় দু'মাস ধরে লিগ পর্যায়ের খেলা চলে। কিন্তু এলাকায় কোনও স্টেডিয়াম না-থাকায় প্রতিযোগিতা চালাতে সমস্যায় পড়তে হচ্ছিল উদ্যোক্তাদের।
এলাকার বাসিন্দা সাদেক লস্কর বলেন, "আমরা ছোট থেকে ফুটবল খেলতে ভালবাসি। এখনও সুযোগ পেলে খেলি। কিন্তু এলাকায় ভাল মাঠ নেই। এই স্টেডিয়াম তৈরি হওয়ার ফলে এখানে উন্নত মানের ফুটবল প্রতিযোগিতা যেমন করা সম্ভব হবে, তেমনই এলাকার ছেলেমেয়েরা ফুটবল প্র্যাকটিস করতে পারবে।’’