সন্দেশখালি-কাণ্ডে বাকিদের গ্রেফতারের দাবিতে সভা করল তৃণমূল। সোমবার দুপুরে সন্দেশখালির জেলিয়াখালি বাজারে ওই সভা হয়।
ইতিমধ্যেই গ্রেফতার হয়েছে জয়নাল মোল্লা, সফিকুল পেয়াদা, জাকির গাজি, আমিন মোল্লা, হাসান মোল্লা। এলাকার মানুষের দাবি, এরা ছাড়াও এই ঘটনায় অনেকেই যুক্ত ছিল। যারা দোকান, বাড়িতে আগুন লাগিয়ে মানুষকে সর্বহারা করে দিয়েছে, তাদেরও অবিলম্বে গ্রেফতার করা হোক।
সন্দেশখালির তৃণমূলের বিধায়ক সুকুমার মাহাতো এ দিন বলেন, ‘‘এলাকায় ৫২টি দোকান-বাড়ি লুঠপাট করে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে কিছু দুষ্কৃতী। তাদের শাস্তির দাবি করা হচ্ছে।’’
এক বাড়ির গরু অন্যের বাগানে ঢুকে খড়-বিচালি খাওয়াকে ঘিরে সন্দেশখালির জেলিয়াখালিতে শনিবার যে গোলমালের সূত্রপাত, তা গড়িয়েছিল দু’পক্ষের গুলির লড়াইয়ে। নিহত নিজামুদ্দিন মোল্লা ওরফে ময়না নামে এক যুবক। এক বালক-সহ ৫ জন গুলিবিদ্ধ হন। অগ্নিসংযোগ, লুঠপাট চলে একের পর এক বাড়িতে। বাইক, ধানের গোলার সঙ্গে পোড়ানো হয় গোটা দশেক দোকান। মহিলাদের শ্লীলতাহানিও হয় বলেও অভিযোগ। পাখিরালয় ও পশ্চিমখণ্ড গ্রাম এখন সুনসান। দোকান বা পুড়ে যাওয়া বাড়িঘর থেকে তখনও ধোঁয়া বেরোচ্ছিল। গ্রাম কার্যত পুরুষশূন্য।
এ দিন সুকুমারবাবু ও সন্দেশখালি ২ ব্লকের তৃণমূলের সভাপতি, তৃণমূলের নেতা লক্ষ্মণ অধিকারি একটি ত্রাণ শিবিরেরও আয়োজন করেন। জেলিয়াখালি ফ্লাড সেন্টারে প্রায় ১২০ জন মানুষের থাকা এবং খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
এ দিন বসিরহাটের এসডিপিও শ্যামল সামন্ত র্যাফ নিয়ে এলাকায় টহল দেন। পুলিশ জানিয়েছে, গ্রামে শান্তি বজায় রাখতেই পুলিশি টহল চলছে। কারণ তৃণমূলের দুই গোষ্ঠী একে অন্যকে দেখে নেওয়ার হুমকি দিচ্ছে বলেও পুলিশ জানতে পেরেছে।