—ফাইল চিত্র।
গঙ্গাসাগর মেলায় আসা তীর্থযাত্রীদের থার্মাল চেকিংয়ের পাশাপাশি প্রয়োজনে অ্যান্টিজেন টেস্ট করা হবে। কারও করোনা ধরা পড়লে তাঁকে কোভিড হাসপাতালে ভর্তি করা হবে। তীর্থযাত্রীদের জন্য সেফ হোমেরও ব্যবস্থা করা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার আলিপুরে এক সাংবাদিক সম্মেলনে এ কথা জানান জেলাশাসক পি উলগানাথন। এদিন ওই বৈঠকে জেলাশাসক ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি শামিমা শেখ। জেলাশাসক জানান, করোনার জেরে বহু তীর্থযাত্রী ইচ্ছা থাকলেও আসতে পারছেন না। তাঁদের কথা মাথায় রেখে ই-স্নানের ব্যবস্থা করা হয়েছে। অ্যাপের মাধ্যমে আবেদন করলে মাত্র ১৫০ টাকার বিনিময়ে পিতলের কমণ্ডলুতে করে পবিত্র গঙ্গাজল বাড়িতে পৌঁছে যাবে। এ বছর মুড়িগঙ্গায় নাব্যতা বাড়াতে প্রয়োজনীয় ড্রেজিংয়ের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। যাত্রীদের জন্য ২০ ঘণ্টা ভেসেল পরিষেবা থাকবে। থাকবে জিপিএস ট্র্যাকিংয়ের ব্যবস্থা। এছাড়া মেলা প্রাঙ্গণে এক হাজারটি সিসি ক্যামেরা বসাচ্ছে জেলা প্রশাসন। পুলিশ ও বেশকিছু সংস্থাও সিসি ক্যামেরা বসাচ্ছে। ২৫টি ড্রোন প্রায় ২৪ ঘন্টা মেলা প্রাঙ্গণ ও তীর্থ যাত্রীদের যাতায়াতের পথে নজরদারি চালাবে। ১২০টি উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন ওয়াকিটকি ব্যবহার করবেন আধিকারিকরা। করোনা পরিস্থিতির জন্য গঙ্গাসাগরে আসা-যাওয়ার পথে প্রতিটি পয়েন্টে স্যানিটাইজার ও মাস্কের ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানানো হয়েছে, এই বছর নাগা সাধুরাও মাস্ক পরে মেলায় হাজির হবেন।