মোশারফ করিম এবং ব্রাত্য বসু (বাঁ দিক থেকে) —ফাইল চিত্র।
নাট্য উৎসবের উদ্বোধনে এসে লোকসভা ভোটে নিজের দলের জন্য প্রচার করলেন নাট্যকার-অভিনেতা তথা রাজ্যের মন্ত্রী ব্রাত্য বসু। যা নিয়ে রাজনৈতিক শোরগোল উত্তর ২৪ পরগনার অশোকনগরে। বিনোদনের মঞ্চে শিক্ষামন্ত্রীর রাজনৈতিক প্রচারের নিন্দা করেছে বিজেপি। যদিও ব্রাত্যের মন্তব্যে ভুল কিছু দেখছে না তৃণমূল।
অশোকনগরে দুই দিন ব্যাপী নাট্য উৎসবের শুরু হয়েছে সোমবার। শহিদ সদন মঞ্চে ওই নাটক অনুষ্ঠিত হবে। অশোকনগর সঙ্গতি পার্কের সামনে নাট্য উৎসবের উদ্বোধনী মঞ্চে সোমবার উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী ব্রাত্য এবং বাংলাদেশের অভিনেতা মোশারফ করিম। এ ছাড়াও নাট্য উৎসবের উদ্বোধনে উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি নারায়ণ গোস্বামী, জলসেচ দফতরের মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক। অনুষ্ঠানে ব্রাত্য তাঁর বক্তব্যে তুলে ধরেন নাটকের বিভিন্ন কথা। তার পর তিনি মোশারফের প্রশংসা করেন। তার পরই উপস্থিত দর্শক তথা জনতার উদ্দেশে মন্ত্রীর বার্তা আগামী বছর মোশারফকে আবার এই নাট্য উৎসবে দেখতে হলে তৃণমূলকে ভোট দিতে হবে। মন্ত্রীর কথায়, ‘‘রাজনীতির কথা একটা বলতে চাই। যে দাবি উঠেছে এখানে, সেটা হল, মোশারফ করিমকে আবার পরের বছর চাই।’’ ব্রাত্যের সংযোজন, ‘‘যদি অশোকনগরে ২০২৪ সালে কাকলি ঘোষ দস্তিদার (বারাসত লোকসভা) বিরাট ভোটে লিড পান তাহলে, আমাদের পক্ষে কাজটা সুবিধার হয়। কাজটা আরও সহজ হয়ে যায়। এই বার্তাটা অশোকনগরের দিকে দিকে ছড়িয়ে দেবেন। বলে দেবেন, যদি মোশারফ করিমকে দেখতে চান তাহলে তৃণমূল প্রার্থী কাকলি ঘোষ দস্তিদারকে জোড়াফুল চিহ্নে বিপুল ভোটে জয়যুক্ত করবেন।’’
উল্লেখ্য, হুগলির অপরাধ জগতে ‘খ্যাতনামী’ শ্যামলের জীবনকে কেন্দ্র করে ব্রাত্যের নতুন ছবি ‘হুব্বা’য় অভিনয় করছেন মোশারফ। এর আগে মন্ত্রীর পরিচালিত ‘ডিকশনারি’ ছবিতেও অভিনয় করেছেন ওপার বাংলার ওই চর্চিত অভিনেতা।কিন্তু নাটকের অনুষ্ঠান মঞ্চে কেন ভোটের প্রচার করছেন ব্রাত্য, এ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে গেরুয়া শিবির। বিজেপির বারাসত সাংগঠনিক জেলা সম্পাদক শ্যামলেন্দু দে-র কটাক্ষ, ‘‘তৃণমূলের ‘আপ টু বটম’ সব চোর। ব্রাত্য বসু শিক্ষা কেন্দ্রের অরাজকতা শেষ পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছেন। তিনি কোনটা নাট্যমঞ্চ আর কোনটা তৃণমূলের মঞ্চ সেটা ভুলে গিয়েছেন।’’ ওই বিজেপি নেতার সংযোজন, ‘‘তৃণমূলের পায়ের তলা থেকে যে মাটি সরে গিয়েছে, এটা তারই প্রমাণ। তাই ভোটের প্রচারের জন্য নাট্য উৎসবও ছাড় পাচ্ছে না।’’