শিশুর মৃত্যু নিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে দোষারোপ করেন মা (ডান দিকে)। —নিজস্ব চিত্র।
শিশুমৃত্যুকে কেন্দ্র করে উত্তেজনার পরিস্থিতি দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়নগর ১ নম্বর ব্লকের পদ্মেরহাট গ্রামীণ হাসপাতালে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ শুরু করে মৃতের পরিবার। এর জেরে হাসপাতাল চত্বরে শোরগোল শুরু হয়। বেশ কিছু ক্ষণ হাসপাতালের সামনে বিক্ষোভ দেখানোর পর খবর পেয়ে হাসপাতালে আসে জয়নগর থানার পুলিশবাহিনী। এর পরে অবশ্য পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, বারুইপুর থানার অন্তর্গত সীতাকুণ্ডুর বাসিন্দা নুরবানু সর্দার প্রসবযন্ত্রণা নিয়ে গত ৩ জুন পদ্মারহাট গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি হন। পরের দিন অর্থাৎ, ৪ জুন তিনি একটি শিশুর জন্ম দেন। সদ্যোজাতের বেশ কিছু শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়। তার চিকিৎসা চলছিল। সোমবার সকালে শিশুটির মৃত্যু হয়। শিশুটির পরিবারের অভিযোগ, রবিবার রাত থেকেই শিশুটির শারীরিক সমস্যা দেখা দিয়েছিল। কিন্তু কর্তব্যরত চিকিৎসক এবং নার্সের কাছে তা জানিয়েও কোনও কাজ হয়নি। তাঁরা সঠিক পরিষেবা দেননি। সময় মতো শিশুটির চিকিৎসা না হওয়ায় সে মারা গিয়েছে।
যদিও এই অভিযোগ নিয়ে এখনই কোনও ব্যাখ্যা দিতে নারাজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এ নিয়ে ব্লক মেডিক্যাল অফিসার শাহিদ আহমেদ বলেন, ‘‘আমাদের হাসপাতালে একটি সদ্যোজাত শিশুর মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু কী ভাবে মৃত্যু হয়েছে, তার সঠিক তদন্ত না হওয়া পর্যন্ত এখনই কিছু বলা সম্ভব নয়।’’ তবে হাসপাতালের তরফে এ টুকুই বলা হচ্ছে যে, শিশুটিকে একটি ভ্যাকসিন দেওয়ার পর থেকে তার জ্বর আসে। পাশাপাশি, দুধ খাওয়ানোর সময় শ্বাসনালীতে দুধ আটকে গিয়েও এমন ঘটনাও ঘটতে পারে বলে প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে।