বিস্ফোরণের পর ভাঙড় হাই স্কুল। — নিজস্ব চিত্র।
ইতিহাস পরীক্ষা শেষ হয়েছে মাত্র ১০ মিনিট আগে। উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীরা বেরোচ্ছেন পরীক্ষাকেন্দ্র থেকে। আচমকা প্রবল শব্দে কেঁপে উঠল গোটা স্কুলবাড়ি। শুরু হল দৌড়ঝাঁপ। শব্দের উৎসস্থল খুঁজতে গিয়ে আতঙ্ক বাড়ল দ্বিগুণ। দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড় হাই স্কুলের শৌচাগারে একটি বোমা ফেটে উত্তেজনা ছড়াল ওই এলাকায়। আতঙ্ক ছড়াল পরীক্ষার্থী, অভিভাবক থেকে শিক্ষকদের মধ্যে। ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
পরীক্ষার্থীদের কয়েক জন জানাচ্ছেন, মঙ্গলবার পরীক্ষা শেষ হওয়ার কিছু ক্ষণ পরই একটি বোমা ফাটে ছাত্রদের শৌচাগারে। ঘটনাস্থলের দিকে দৌড়ে যান নিরাপত্তারক্ষীরা। খবর পেয়ে পৌঁছে যায় পুলিশ। সূত্রের খবর, একটি সুতলি বোমা রেখে গিয়েছিল কেউ বা কারা। সেটাই ফেটেছে। কিন্তু উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা চলাকালীন স্কুলের শৌচাগারে কে বিস্ফোরক রেখে গেলেন, সেই নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। ইতিমধ্যে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। তবে প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানাচ্ছে, বিস্ফোরণ ঘটানোর নেপথ্যে কোনও পরীক্ষার্থীও থাকতে পারেন। এখন জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী এক পরীক্ষার্থী বলেন, ‘‘বাথরুমে গিয়ে দেখি একটি বোমা। তাতে আগুনও জ্বলছে। পুলিশ এসেছিল। এক স্যর বললেন, ‘সরে আয় তাড়াতাড়ি।’ তার পরই প্রচণ্ড শব্দে কেঁপে উঠল গোটা স্কুল।’’
যদিও এই বিস্ফোরণের ঘটনায় কেউ হতাহত হননি। এই ঘটনা নিয়ে স্থানীয় বিজেপি নেতা সুনীপ দাস বলেন, ‘‘আরাবুল ইসলাম গ্রেফতার হয়ে গিয়েছেন। কিন্তু তৃণমূল জমানায় বোমা, বন্দুক, গুলি সর্বত্র পাওয়া যায়। স্কুলও ছাড় পাচ্ছে না।’’ তিনি আঙুল তোলেন পুলিশ প্রশাসনের দিকেও। যদিও এই ঘটনার সঙ্গে রাজনৈতিক দলের কোনও সম্পর্ক নেই বলে দাবি করেছে শাসকদল। ঘটনার তদন্ত চালাচ্ছে ভাঙড় থানার পুলিশ।