Bangaon

শুরু হয়েও টাকার অভাবে বন্ধ রয়েছে রাস্তার কাজ 

স্থানীয় সূত্রের খবর, জয়পুর বটতলা এলাকায় সৃষ্টিধাম মন্দির থেকে হরিদাসপুর উত্তরপাড়া পর্যন্ত মাটির রাস্তাটি এলাকার চাষিরা খেতে যাতায়াতের জন্য ব্যবহার করেন।

Advertisement

সীমান্ত মৈত্র  

বনগাঁ শেষ আপডেট: ১৮ এপ্রিল ২০২৩ ০৯:২৮
Share:

থমকে: আটকে রয়েছে জয়পুর শিবমন্দির থেকে হরিদাসপুর পর্যন্ত রাস্তার কাজ। ছবি: নির্মাল্য প্রামাণিক

গ্রামবাসীদের দাবি মেনে বছরখানেক আগে শুরু হয়েছিল রাস্তার কাজ। কিন্তু কিছুটা অংশে মাটিও ফেলার পরে কাজ বন্ধ হয়ে যায়। বনগাঁ ব্লকের ছয়ঘরিয়া পঞ্চায়েত এলাকার ঘটনা। কাজ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় হতাশ এলাকার মানুষ। দ্রুত কাজ শুরুর দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। পথশ্রী-রাস্তাশ্রীতেও তালিকাভুক্ত হয়নি এই রাস্তা। ফলে বেড়েছে ক্ষোভ।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রের খবর, জয়পুর বটতলা এলাকায় সৃষ্টিধাম মন্দির থেকে হরিদাসপুর উত্তরপাড়া পর্যন্ত মাটির রাস্তাটি এলাকার চাষিরা খেতে যাতায়াতের জন্য ব্যবহার করেন। খেতের আনাজ এই পথেই সাইকেল ভ্যানে করে বাজার-হাটে নিয়ে যান। গ্রামের মানুষজনও যাতায়াত করেন। স্থানীয় চাষি কেনারাম মণ্ডল বলেন, “বর্ষার মরসুমে রাস্তায় প্রচণ্ড কাদা হয়। হাঁটাচলা করা যায় না। ভ্যান, বাইক, সাইকেল চলে না। তখন মাথায় করে আনাজ নিয়ে যেতে হয়।” ঢালাই রাস্তা তৈরি হলে গ্রামের মানুষ যশোর রোড এড়িয়ে বাইপাস রাস্তা হিসাবে ওই পথ ব্যবহার করতে পারবেন। সব ধরনের যানবাহনও চলবে। খেতের আনাজ হাটে বাজারে নিয়ে যাওয়ার পরিবহণ খরচ কমবে বলেও অনেকের মত। রোগীদের দ্রুত বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া যাবে। ঢালাই রাস্তার পাশাপাশি, ওই রাস্তায় খালের উপরে একটি কালভার্টেরও দাবিও জানিয়েছেন গ্রামবাসীরা।

পঞ্চায়েত সূত্রে জানানো হয়েছে, বছরখানেক আগে রাস্তাটি ঢালাই করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। কিছুটা অংশে মাটি ফেলে রাস্তাটি সমান করা হয়েছিল। কিন্তু তারপর টাকার অভাবে কাজ বন্ধ হয়ে গিয়েছে। পঞ্চায়েত প্রধান প্রসেনজিৎ ঘোষ বলেন, “একশো দিনের কাজ প্রকল্পে কাজ শুরু হয়েছিল। কিন্তু কাজ শুরু হওয়ার পর পরই কেন্দ্র একশো দিনের কাজ প্রকল্পের টাকা বন্ধ করে দেয়। সে কারণে রাস্তার কাজ শেষ করা যায়নি। শ্রমিকদের কাজের টাকাও দেওয়া যায়নি। ওই প্রকল্পের টাকা পেলে আবার কাজ শুরু হবে। শ্রমিকদেরও পারিশ্রমিক দিয়ে দেওয়া হবে।”

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement