ধস নেমেছে চরে। নিজস্ব চিত্র
ঝড়ের তাণ্ডব বা কটাল ছাড়াই গোসাবার রাঙাবেলিয়া পঞ্চায়েতের পাখিরালয় পর্যটনকেন্দ্রের দু’দিকে বিদ্যাধরী ও গোমর নদীবাঁধ সংলগ্ন চরে ধস নামল রবিবার রাতে। এলাকাবাসী জানান, প্রায় ২০০ ফুট এলাকা জুড়ে ধস নেমেছে। দ্রুত কংক্রিটের বাঁধ তৈরিরও দাবি তুলেছেন তাঁরা।
সোমবার সকালে ধস দেখতে পেয়ে বিষয়টি স্থানীয় পঞ্চায়েত ও ব্লক প্রশাসনকে জানান গ্রামবাসীরা। সেচ দফতরের কর্মীরা ঘটনাস্থলে এসে কাজ শুরু করেন। ভাঙন আটকাতে আপাতত বস্তাবোঝাই করে ইট ফেলা হয়েছে। বিডিও বিশ্বনাথ চৌধুরী বলেন, ‘‘পাখিরালয়ের দু’দিকের চরেই ধস নেমেছে। সেচ দফতর বিষয়টা দেখছে। দ্রুত সমস্যার সমাধান হবে।” গোসাবার সেচ দফতরের আধিকারিক শুভদীপ দালাল বলেন, ‘‘দ্রুত বাঁধ মেরামত হয়ে যাবে। কংক্রিটের বাঁধ তৈরির বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।’’
স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, এলাকাটি বন্যপ্রবণ। বছর দুয়েক আগে ইয়াসের সময় বিদ্যাধরী নদীর বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয়েছিল পাখিরালয়। নোনা জলে ডুবেছিল এলাকার বাড়ি, খেত, হোটেল। সেই ক্ষত সারিয়ে উঠেছেন অনেকেই। ফের ধস নামায় আতঙ্কে ভুগছেন তাঁরা। তাঁদের দাবি, ধস নামলে জোড়াতালি দিয়ে বাঁধের সংস্কার হয়। কিন্তু বড় ঘূর্ণিঝড়বা কটাল হলেই তা ফের ভেঙেপড়ার আশঙ্কা থাকে। কংক্রিটের বাঁধ তৈরি না করলে স্থায়ী সমাধান সম্ভব নয়।
স্থানীয় বাসিন্দা উমা মণ্ডল, সীমা মণ্ডলেরা বলেন, “সামনেই ঘূর্ণিঝড়ের মরসুম। পূর্ণিমা-অমাবস্যার কটালও হবে। ইট-মাটি ফেলে কাজের কাজ কিছুই হয়নি। এখানে দ্রুত কংক্রিটের বাঁধ তৈরি না করলে গোটা পাখিরালয় নদীগর্ভে তলিয়ে যাবে।”