হেলমেটহীন চালক পেলেন গোলাপ

হেলমেট নেই। মুখে সিগারেট নিয়ে স্কুটি চালিয়ে যাচ্ছিলেন কাজের জায়গায় যাচ্ছিলেন পেশায় আইনজীবী স্বপন বসু। পথ আটকাল স্কুল ছাত্রীরা। স্বপনবাবুর হাতে ধরিয়ে দিল গোলাপ ফুল। সঙ্গে দেওয়া হল, ‘সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফ’ নিয়ে লিফলেট।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ব্যারাকপুর শেষ আপডেট: ০৭ এপ্রিল ২০১৭ ০১:৫৭
Share:

বুঝলে-হয়: হেলমেট না পরায় হাতে ফুল ধরাল ছাত্রীরা। ছবি: সজল চট্টোপাধ্যায়

হেলমেট নেই। মুখে সিগারেট নিয়ে স্কুটি চালিয়ে যাচ্ছিলেন কাজের জায়গায় যাচ্ছিলেন পেশায় আইনজীবী স্বপন বসু। পথ আটকাল স্কুল ছাত্রীরা। স্বপনবাবুর হাতে ধরিয়ে দিল গোলাপ ফুল। সঙ্গে দেওয়া হল, ‘সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফ’ নিয়ে লিফলেট।

Advertisement

বৃহস্পতিবার গাড়ুলিয়ার ঘোষপাড়া রোডে এই দৃশ্যের সাক্ষী রইলেন অসংখ্য মানুষ। শুধু স্বপনবাবুই নন, নৈহাটির ব্যবসায়ী অমূল্য ঘোষ, ব্যারাকপুরের ব্যবসায়ী শান্তনু মণ্ডল, অভিজিৎ দাসদের মতো অনেকেই হেলমেট না পরায় ফুল পেলেন স্কুল পড়ুয়াদের কাছ থেকে।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ‘সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফ’ নিয়ে বারবার সচেতন হওয়ার কথা বললেও বাস্তবে তার প্রতিফলন সাময়িক। ট্রাফিক নিরাপত্তা সপ্তাহে রাস্তার মোড়ে মোড়ে পুলিশের পক্ষ থেকে মঞ্চ বানিয়ে দুর্ঘটনাগ্রস্ত মোটরবাইক বা গাড়ি সাজিয়ে রেখে সচেতন করা হচ্ছে মানুষকে। নিয়ম মেনে গাড়ি বা বাইক চালানোর কথা মাইকে প্রচার করা হলেও প্রত্যেক দিন হাজার হাজার মোটর বাইক আরোহী বা গাড়ির চালক সেই সাবধানতার ধার ধারছেন না। কেন হেলমেট পরছেন না, সে প্রশ্ন তুললে নানা অজুহাত খাড়া করেন। কেউ বলেন, বাড়ি থেকে আনতে ভুলে গিয়েছি। কেউ বলেন, মাথা ব্যথা করে। আরও নানা রকম উদ্ভট যুক্তি তৈরি করা হয় হেলমেট না পরার সপক্ষে।

Advertisement

ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের এক কর্তা জানান, স্বপনবাবুর মতো সমাজের বহু শিক্ষিত ও তথাকথিত সচেতন নাগরিকই নিয়মকে বুড়ো আঙুল দেখান নিছক গুরুত্বহীনতার জন্য। পুলিশ নিয়ম মানতে বললে তা অগ্রাহ্য করা যায়। কিন্তু কন্যাসম ছোট ছোট মেয়েরা নিয়ম মানার অনুরোধ করে ফুল এগিয়ে দিলে আশা করা যায় এ বার অনেকে ভুল বুঝবেন।

ব্যারাকপুরের পুলিশ কমিশনার সুব্রত মিত্র বলেন, ‘‘এতে ভাল কাজ হচ্ছে। অনেকেই অনুভব করছেন নিয়ম মানার গুরুত্ব। এটাই আমাদের সাফল্য।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement