দুর্ঘটনার পরে। শনিবার দিলীপ নস্করের তোলা ছবি।
নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি লরি হঠাৎ বৈদ্যুতিন সরঞ্জামের দোকানের শাটারে ধাক্কা মারল। শাটারটি মুচড়ে গেল।
শনিবার ভোরে ঘটনাটি ঘটেছে ফলতার দোস্তপুর-সহরারহাট রোডে। এই ঘটনার জেরে স্থানীয়রা পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান। সকাল ৭টা থেকে অবরোধ শুরু হয়। প্রায় পাঁচ ঘণ্টা অররোধ চলে। পরে পুলিশ বিক্ষোভকারীদের বুঝিয়ে অবরোধ তুলে দেয়। এই সময় গাড়ি চলাচল বন্ধ হওয়ায় মানুষের ভোগান্তি হয়। পুলিশ জানিয়েছে, ওই সময় দোকানে কেউ ছিলেন না। কোনও প্রাণহানিও হয়নি।
ফলতার ১১৭ নম্বর জাতীয় সড়কের দোস্থপুর মোড় থেকে সহরারহাট এবং নতুনরাস্তা ও ফলতা বাস স্ট্যান্ডের রাস্তার দোস্তপুর মোড় থেকে দিঘিরপাড় মোড় প্রায় ৩ কিলোমিটার রাস্তা মাস ছ’য়েক আগে সংস্কার করা হয়েছে। কিন্তু বৃষ্টি শুরু হতেই ওই রাস্তায় একের পর এক দুর্ঘটনা ঘটছে বলে বাসিন্দাদের অভিযোগ।
এ দিনের ঘটনার পরেই ক্ষিপ্ত জনতা রাস্তার উপর গাছের গুড়ি ফেলে অবরোধ শুরু করেন। তাঁদের অভিযোগ, বৃষ্টি হলেই দিনে প্রায় পাঁচটি দুর্ঘটনা ঘটবেই। কোথাও গাড়ি উল্টে পড়ছে পাশের নয়ানজুলি। আবার কখনও দু’টি গাড়ির মুখোমুখি ধাক্কায় জখম হচ্ছেন অনেকে। প্রাণহানির ঘটনাও ঘটেছে। স্থানীয় বাসিন্দা আশিস মণ্ডল, জয়ন্ত হালদারদের আশঙ্কা, ‘‘রাস্তা তৈরির কোনও ত্রুটি রয়েছে। না হলে বৃষ্টি হলেই পিচ্ছিল হয়ে যাচ্ছে। তাতেই বাড়ছে দুর্ঘটনা। রাস্তায় হাম্পের প্রয়োজন।’’
পুলিশ জানিয়েছে, রাস্তা নির্মাণে কোন ত্রুটি আছে কিনা বলা যাবে না। তবে ভাল রাস্তা পেয়ে চালকেরা বেপরোয়া ভাবে গাড়ি চালাচ্ছে। আর তাতেই ঘটছে দুর্ঘটনা। ওই রাস্তা নিয়ে খুব শীঘ্রই বিধায়কের উপস্থিতিতে পূর্ত দফতরের সঙ্গে বৈঠক ডাকা হয়েছে। ডায়মন্ড হারবারের পূর্ত বিভাগের সহকারী বাস্তুকার বিশ্বজিৎ বল বলেন, ‘‘ওই রাস্তা নির্মাণে সমস্যা নেই। তবে রাস্তার পাশে পাইপলাইনের কাজ চলছে। তার জন্য রাস্তায় কাদা হচ্ছে। ফলে রাস্তা পিচ্ছিল হয়ে যাচ্ছে।’’