রাজ্যসভার সাংসদ শমীক ভট্টাচার্য। নিজস্ব চিত্র।
অশোকনগরে তেলের বাণিজ্যিক উত্তোলনের জন্য জরুরি অনুদান এখনও দেয়নি রাজ্য সরকার। বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ শমীক ভট্টাচার্যের প্রশ্নের উত্তরে সোমবার এমনটাই অভিযোগ করেছেন কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়াম ও প্রাকৃতিক গ্যাস মন্ত্রী হরদীপ সিংহ পুরী। যদিও অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে রাজ্য সরকার।
অশোকনগর তেল ব্লকে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা ওএনজিসি-র অনুসন্ধানের ফল কী, তা নিয়ে শমীক এ দিন প্রশ্ন করেছিলেন। সেই সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তরে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পুরী বলেছেন, অশোকনগরের ৫.৮৮ বর্গ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে প্রাথমিক উন্নয়ন পরিকল্পনার (ইডিপি) অনুমোদন করা হয়েছে। রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা ওএনজিসি খননের জন্য রাজ্যের কাছে ‘লিজ়’ (পেট্রোলিয়াম মাইনিং লিজ়) চেয়ে আবেদনও জানিয়েছিল। এ বিষয়ে রাজ্যকে আগাম সুপারিশ করেছিল মন্ত্রক। ২০২৩ ও ২০২৪-এ দু’দফায় ডিরেক্টর জেনারেল অব হাইড্রোকার্বনস (ডিজিএইচ) পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে অনুরোধ জানিয়ে চিঠি দিয়েছিলেন। কিন্তু কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর দাবি, এখনও পশ্চিমবঙ্গ সরকারের থেকে পেট্রোলিয়াম মাইনিং লিজ় অনুদান (পিএমএল গ্রান্ট) আসেনি।
যদিও কেন্দ্রের বক্তব্যে আমল দেয়নি রাজ্য সরকার। রাজ্যের অর্থ প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের বক্তব্য, “উন্নয়নের কোনও প্রকল্পে অসহযোগিতা তো দূরের কথা। বিলম্বও হতে দেয় না রাজ্য সরকার। যদি কোনও কারণে বন্ধ থাকে, তা তাদের (কেন্দ্রের) রাজনৈতিক কারণে। হাওয়াই অভিযোগ করলে হবে না। কী বকেয়া আছে, তথ্য-সহ রাজ্যের কাছে পাঠান।”
প্রসঙ্গত, গত বছরও এই প্রকল্প কী জায়গায় রয়েছে এবং তেলের মান কী, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল রাজ্যসভায়। গত বছর ডিসেম্বরে তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ জহর সরকার এই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। সেই সময়ে মন্ত্রকের তৎকালীন প্রতিমন্ত্রী রামেশ্বর তেলি জানিয়েছিলেন, ওই ক্ষেত্র থেকে বাণিজ্যিক উৎপাদনের প্রস্তুতি চূড়ান্ত হবে ৩-৪ বছরে। গবেষণাগারের পরীক্ষা থেকে জানা গিয়েছে, অশোকনগর ও লাগোয়া এলাকায় পাওয়া তেল হালকা ওজনের। মান উন্নত। বম্বে হাই থেকে পাওয়া এবং বিশ্ব বাজারে উন্নত মানের অশোধিত তেল ব্রেন্ট ক্রুডের সমান, যার ভাল চাহিদা রয়েছে।