Local Train

রেলের আশ্বাস পেয়ে অবরোধ উঠল ডায়মন্ড হারবারে, বিক্ষোভের জেরে সকাল থেকে বাতিল বেশ কিছু লোকাল

বুধবার ভোর থেকে নিত্যযাত্রীরা ডায়মন্ড হারবার স্টেশনে রেল অবরোধ করছেন। নির্ধারিত সময়ের চেয়ে অনেক দেরিতে চলছে ট্রেন। এর ফলে অফিস বা গন্তব্যে পৌঁছতে দেরি হয়ে যাচ্ছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ৩১ জুলাই ২০২৪ ১০:৪৭
Share:

ট্রেন অবরোধ। ছবি: সংগৃহীত।

রেল অবরোধের জেরে শিয়ালদহ-ডায়মন্ড হারবার শাখার ট্রেন চলাচল ব্যাহত। ভোর থেকেই বাতিল হচ্ছে একের পর এক ডায়মন্ড হারবার লোকাল। যার ফলে দিনের ব্যস্ত সময়ে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন যাত্রীরা। স্টেশনে স্টেশনে বাড়ছে যাত্রীদের ভিড়। তবে প্রায় পাঁচ ঘণ্টা পর রেল আধিকারিকদের থেকে আশ্বাস পেয়ে ডায়মন্ড হারবার স্টেশন থেকে অবরোধ তোলেন যাত্রীরা। তবে পরিস্থিতি এখনও স্বাভাবিক হয়নি। কখন পরিষেবা স্বাভাবিক হবে, তার উত্তর নেই রেলের কাছেও। বিক্ষোভকারীদের দাবি, রোজ রোজ ট্রেন নির্ধারিত সময়ের চেয়ে দেরিতে চলে। তবে ট্রেন দেরিতে চলার কারণ হিসাবে ‘রেলগেটের সমস্যা’কে তুলে ধরল পূর্ব রেল।

Advertisement

বুধবার ভোর থেকে নিত্যযাত্রীরা ডায়মন্ড হারবার স্টেশনে রেল অবরোধ করছেন। নির্ধারিত সময়ের থেকে অনেক দেরিতে চলছে ট্রেন। এর ফলে অফিস বা গন্তব্যে পৌঁছতে দেরি হয়ে যাচ্ছে। স্টেশন কর্তৃপক্ষকে বার বার অসুবিধার কথা জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। তাই বুধবার অবরোধের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা। ডায়মন্ড হারবার ছাড়াও ওই শাখার নেত্রা এবং মগরাহাট স্টেশনেও অবরোধ করছেন যাত্রীরা।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন রেল আধিকারিকেরা। সঙ্গে ছিল জিআরপিএফও। বিক্ষুব্ধ যাত্রীদের বোঝানোর চেষ্টা করেন তাঁরা। ঘটনাস্থলে আসে ডায়মন্ড হারবার থানার পুলিশও। দফায় দফায় অবরোধকারীদের সঙ্গে কথা বলে তারা। যদিও বিক্ষোভকারীদের স্পষ্ট বক্তব্য, দাবি না মানলে অবরোধ তোলার কোনও প্রশ্নই নেই। লিখিত আশ্বাস পেলেই অবরোধ তুলবেন তাঁরা, দাবি তেমনটাই। অনেক বোঝানোর পর সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ অবরোধ তোলেন যাত্রীরা। এই অবরোধের জেরে ভোর থেকেই ওই লাইনে ট্রেন চলাচল ব্যাহত হয়। রেল সূত্রে খবর, অবরোধের কারণে ওই লাইনে ট্রেন চালানো সম্ভব হচ্ছিল না। ডাউন লাইনে দাঁড়িয়ে পড়ে একের পর ট্রেন। ফলে শিয়ালদহ থেকে কোনও ডায়মন্ড হারবার লোকাল ছাড়া সম্ভব হচ্ছে না। বাতিল হচ্ছে একের পর এক লোকাল।

Advertisement

ট্রেন দেরিতে চলা নিয়ে রেলের বক্তব্য, সময় মতো রেলগেট বন্ধ করা যায় না। সেই কারণে অনেক রেলগেটের আগেই ট্রেন দাঁড়িয়ে পড়ে। পরিষেবায় ব্যাঘাত ঘটে। পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র বলেন, ‘‘আপনাদের জন্য অনেক মানুষ বিপদে পড়ছেন। যদি কোনও অভিযোগ থাকে তবে তা নির্দিষ্ট ফোরামে জানান। রেলওয়ে কখনই চায় না দেরিতে ট্রেন চালাতে। রেলওয়ের ট্র্যাক পরিষ্কার থাকলে পরিষেবা স্বাভাবিক গতিতেই চলতে পারে। কিন্তু যত ক্ষণ পর্যন্ত না রেলগেটগুলি সঠিক সময়ে বন্ধ করতে পারছি, তত ক্ষণ ট্রেন আটকে পড়ছে। যার ফলে অন্যান্য ট্রেনও দাঁড়িয়ে পড়ে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement