(বাঁ দিকে) জয়ন্ত সিংহ। রাহুল গুপ্ত (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।
আড়িয়াদহকাণ্ডে আরও এক গ্রেফতার। এ বার গ্রেফতার করা হল জয়ন্ত সিংহের ঘনিষ্ঠ রাহুল গুপ্তকে। দীর্ঘ দিন ধরে তাঁর খোঁজ চলছিল। শুক্রবার রাতে আলমবাজার এলাকা থেকে রাহুলকে গ্রেফতার করেছে বেলঘরিয়া থানার পুলিশ।
আড়িয়াদহে দুই গোষ্ঠীর বচসার জেরে মা এবং ছেলেকে মারধরের ঘটনায় অভিযুক্ত এই রাহুল। এই ঘটনায় জয়ন্তকে আগেই গ্রেফতার করা হয়েছিল। কিন্তু রাহুলকে এত দিন খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। এ ছাড়া, ভাইরাল একটি ভিডিয়োয় এই রাহুলকে এক জনকে চ্যাংদোলা করে মারধর করতেও দেখা গিয়েছিল বলে অভিযোগ (ওই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন) ।
স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছে রাহুল গুপ্তকে। —নিজস্ব চিত্র।
আড়িয়াদহকাণ্ডে এক ব্যক্তির মোবাইল চুরিকে কেন্দ্র করে বচসা বেধেছিল। পুলিশ সূত্রে খবর, সেই মোবাইল ছিল রাহুলেরই। তাঁরই কথায় মা এবং ছেলেকে সন্দেহের বশে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। ওই ঘটনার পর ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের পুলিশ কমিশনার সাংবাদিক বৈঠক করে জানিয়েছিলেন, ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি-মার্চ মাসে আড়িয়াদহের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা রাহুলের বাড়িতে মোবাইল চুরির ঘটনা ঘটে। কিন্তু তিনি থানায় কোনও অভিযোগ দায়ের করেননি। চুরির ঘটনায় এক দম্পতির দিকে সন্দেহ হয় স্থানীয়দের একাংশের। কামারহাটির আড়িয়াদহ তালতলা স্পোর্টিং ক্লাবে ওই দু’জনকে নিয়ে এসে বেধড়ক মারধর করা হয়। সেই ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে (যদিও ওই ভিডিয়োর সত্যতাও যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন)। আইন হাতে তুলে নেওয়ার এই ধরনের ঘটনা বরদাস্ত করা হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন পুলিশ কমিশনার।
এই ঘটনার সূত্রে জয়ন্ত ছাড়াও গ্রেফতার করা হয়েছিল তাঁর সঙ্গী অভিষেক বর্মণ, সুভাষ বেরা এবং সুমন দে-সহ ছ’জনকে। এ বার রাহুলকেও গ্রেফতার করা হল।
শনিবার রাহুলকে ব্যারাকপুর আদালতে হাজির করাবে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাঁকে হেফাজতে চাওয়া হতে পারে। তার আগে রাহুলকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে সাগর দত্ত মেডিক্য়াল কলেজ হাসপাতালে।