Barasat

ভাগাড় সরানোর দাবিতে চলছে আন্দোলন, আবর্জনার দুর্গন্ধে ভোগান্তি বারাসতে

আন্দোলনকারীদের দাবি, ভাগাড়ে আবর্জনা ফেলতে দেবেন না। আন্দোলনের জেরে বারাসত স্টেডিয়ামের গায়ে আবর্জনা ফেলতে হচ্ছে পুরকর্মীদের।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বারাসত শেষ আপডেট: ২০ জানুয়ারি ২০২১ ১৭:৩০
Share:

আবর্জনায় ভরে গিয়েছে রাস্তা। —নিজস্ব চিত্র।

ভাগাড়ের আবর্জনার দুর্গন্ধে টেকা দায়। তাই আন্দোলনে নেমেছেন বারাসত পুরসভার বাসিন্দাদের একাংশ। তাঁদের দাবি, ভাগাড় সরিয়ে নিয়ে যেতে হবে অন্যত্র। তবে গত ১২ দিন ধরে এই আন্দোলনের জেরে শহরের যত্রতত্র আবর্জনা ফেলতে শুরু করেছেন মানুষজন। যার ফলে বিপাকে পড়েছে বারাসত পুরসভা। প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, ভাগাড় সরিয়ে নেওয়ার এই আন্দোলন কি আদৌ অরাজনৈতিক? না এর পিছনে রাজনৈতিক প্ররোচনা কাজ করছে? উত্তর যা-ই হোক না কেন, আপাতত ভোগান্তি বেড়েছে বারাসতের বাসিন্দাদের।

Advertisement

উত্তর ২৪ পরগনার বারাসতে বেশ কয়েক বছর আগে জমি কিনে শহরের সমস্ত আবর্জনা ফেলার জন্য ভাগাড় তৈরি করেছিল পুরসভা। তবে সেই ভাগাড় এমন দুর্গন্ধ বার হয় যে তার আশপাশের বাসিন্দাদের প্রাণ ওষ্ঠাগত। ক্ষুব্ধ মানুষজনের দাবি, দুর্গন্ধের জন্য দীর্ঘদিন প্রায় হাজার বিঘা জমি চাষ হয় না। ভাগাড় সরানোর দাবিতে আন্দোলনে নেমেছেন তাঁরা। গত ১২ দিন ধরে চলছে আন্দোলন। আন্দোলনকারীদের দাবি, ভাগাড়ে আবর্জনা ফেলতে দেবেন না। আন্দোলনের জেরে বারাসত স্টেডিয়ামের গায়ে আবর্জনা ফেলতে হচ্ছে পুরকর্মীদের। একই সঙ্গে বহু বাড়ি থেকে প্রতিদিন আবর্জনা নিয়ে যাওয়ার নিয়মও বন্ধ। স্থানীয় মানুষজন ও নিজেদের মতো করে এদিক-ওদিক আবর্জনা ফেলতে শুরু করেছেন। ফলে ভাঁজ পড়েছে পুরসভার আধিকারিকদের কপালে। আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আলোচনা করেও সমাধানসূত্র বার হয়নি। উল্টে আন্দোলনকারী সুভাষ দত্তের কড়া হুঁশিয়ারি, ‘‘যত দিন পর্যন্ত এই ভাগাড় উৎখাত না করা হচ্ছে, তত দিন পর্যন্ত আমাদের এই আন্দোলন চলবে।’’

বারাসত পুরসভার পুরপ্রশাসক সুনীল মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘স্থানীয় পঞ্চায়েত সমিতি পঞ্চায়েত স্তরে আলোচনা করেছে। এডিএমএলআর-এর সঙ্গে বেশ কয়েক দফা বৈঠকে বসেও সমাধানসূত্র খুঁজে পাওয়া যায়নি।’’ তাঁর দাবি, ‘‘এই আন্দোলনের পিছনে কোনও রাজনীতি রয়েছে কি না, তা-ও স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে না। যাঁরা আন্দোলন করছেন, তাঁরা কোনও পতাকা ব্যবহার করছেন না।’’ সব মিলিয়ে বারাসত পুরসভার সমস্যা দিন দিন জটিল থেকে জটিলতর হয়ে উঠছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement