প্রতিবাদ: কৃষকদের পথ অবরোধ। বনগাঁ বাটার মোড়ে। ছবি: নির্মাল্য প্রামাণিক
অবরোধে থমকাল যানবাহন। গলি থেকে রাজপথ, মুখর হল মিছিলে। পুড়ল কুশপুতুল-কৃষি বিলের প্রতিলিপি। রাজনৈতিক দলের পাশাপাশি নীরব মিছিলে পা মেলালেন খেত-খামারের চাষিরা।
শুক্রবার দেশজোড়া কৃষক বিক্ষোভের দিনে এই হল দুই ২৪ পরগনায় আন্দোলনের নির্যাস। কাকদ্বীপ থেকে বসিরহাট, ক্যানিং থেকে বনগাঁ— সর্বত্রই ধরা পড়ল একই চিত্র। আন্দোলনে ভাঙল দূরত্ববিধিও।
সকালে বাসন্তীর কুলতলি বাজারের কাছে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান বাম নেতৃত্ব। সারা ভারত কৃষক ও খেতমজুর সংগঠনের তরফে ক্যানিং, জয়নগর, কুলতলি-সহ জেলার বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ, অবরোধ হয়। সমর্থন করে এসইউসিও। ক্যানিং-গোসাবায় তৃণমূলের বিক্ষোভ মিছিলের নেতৃত্ব দেন স্থানীয় বিধায়কেরা।
সারা ভারত কৃষক সংঘর্ষ সমন্বয় কমিটির ডাকে ভাঙড়ের ঘটকপুকুরে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভার আয়োজন হয়। ঘটকপুকুর মোড়ে বাসন্তী হাইওয়ে অবরোধ করে কৃষি বিলের প্রতিলিপি পোড়ানো হয়। ভাঙড়ের জমিরক্ষা কমিটি শ্যামনগর মোড়ে হাড়োয়া-লাউহাটি রোড দীর্ঘক্ষণ অবরোধ করে। পোলেরহাট ২ পঞ্চায়েতের মাছিভাঙা, খামারাইট-সহ আশপাশের গ্রামের কয়েক হাজার কৃষক ও সাধারণ মানুষ বিক্ষোভ-মিছিলে সামিল হন। ভাঙড় ও জীবনতলায় মিছিল করে তৃণমূলও।
বৃষ্টি উপেক্ষা করে বাদুড়িয়া, হিঙ্গলগঞ্জ এবং স্বরূপনগর-সহ বসিরহাটের বিভিন্ন ব্লকে মিছিল, মিটিং করে কংগ্রেস-তৃণমূল ও বামেরা। বাদুড়িয়ায় বিধায়কের নেতৃত্ব বড় সভা হয়।
অশোকনগরের বিল্ডিং মোড়ে যশোর রোড অবরোধ করে সিপিএম ও কংগ্রেস। বনগাঁ শহরে বামেরা প্রতিবাদ মিছিল করে। বাটার মোড়ে যশোর রোড অবরোধ করা হয়। বামপন্থী কৃষক সংগঠনের তরফে হাবড়ায় মিছিল হয়। যার জেরে যশোর রোডে যানজট হয়। বনগাঁয় তৃণমূল পাইকপাড়া বাজার থেকে গরুর গাড়ি নিয়ে প্রতিবাদ মিছিল করে। মছলন্দপুর, গোবরডাঙায় বামেরা মিছিল করে। মিনাখাঁ থানার নেরুলি বাজারে বাম ও কংগ্রেসে মিছিল করে। অবরোধ করা হয় মালঞ্চ-বসিরহাট রোড।