Vice Panchayat Head Murder

উপপ্রধানকে খুনে গ্রেফতার মূল অভিযুক্ত

গৌতম এলাকায় ‘জমি মাফিয়া’ হিসাবে পরিচিত। বিজনের মেয়ে কোয়েনা গুমা ১ পঞ্চায়েত প্রধান জেসমিন সাহাজি ও তাঁর স্বামী সহ ৬ জনের বিরুদ্ধে খুনের চক্রান্ত করার অভিযোগ করেছিলেন থানায়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

অশোকনগর শেষ আপডেট: ২২ মার্চ ২০২৪ ০৮:৪৯
Share:

আততায়ীর গুলিতে নিহত অশোকনগরের গুমা ১ পঞ্চায়েতের তৃণমূলের উপপ্রধান বিজন দাসের খুনের ঘটনায় ধরা পড়ল মূল অভিযুক্ত গৌতম দাস। বৃহস্পতিবার ভোরে বসিরহাট সীমান্ত এলাকা থেকে তাকে ধরা হয়। এ দিনই বারাসত জেলা আদালতে তোলা হলে বিচারক তাকে পুলিশ হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। বারাসতের পুলিশ সুপার প্রতীক্ষা ঝাড়খরিয়া বলেন, ‘‘প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গৌতম খুনের কথা স্বীকার করেছে। সে জানিয়েছে, ব্যক্তিগত শত্রুতা থেকেই এই খুন। তাকে আরও জেরা করা হবে। খুনের পরিকল্পনায় আরও কারা জড়িত, আগ্নেয়াস্ত্র কোথা থেকে সে পেয়েছিল, এ সব জানার চেষ্টা করা হচ্ছে।’’ পুলিশ জানিয়েছে, ইতিমধ্যেই খুনে ব্যবহৃত সেভেন-এমএম পিস্তলটি উদ্ধার হয়েছে।

Advertisement

২৫ ফেব্রুয়ারি রাতে বিজন গুমা নিবেদিতাপল্লি এলাকার বাসিন্দা তুহিন দত্তের বাড়িতে ঘুমিয়েছিলেন। তুহিন ছিলেন তাঁর ‘ছায়াসঙ্গী।’ অভিযোগ, ঘরে ঢুকে গৌতম তাঁকে গুলি করে পালিয়ে যায়। বিজনের মাথায়-পিঠে গুলি লেগেছিল। ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি। তুহিন আগেই ধরা পড়েছে। পলাশ বর্মা নামে আরও এক জনকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। এ বার ধরা পড়ল গৌতম।

গৌতম এলাকায় ‘জমি মাফিয়া’ হিসাবে পরিচিত। বিজনের মেয়ে কোয়েনা গুমা ১ পঞ্চায়েত প্রধান জেসমিন সাহাজি ও তাঁর স্বামী সহ ৬ জনের বিরুদ্ধে খুনের চক্রান্ত করার অভিযোগ করেছিলেন থানায়। জেসমিন অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করেন।

Advertisement

বৃহস্পতিবার কোয়েনা বলেন, ‘‘পুলিশ এ বার নিশ্চয়ই গৌতমকে জেরা করে তাকে কারা সাহায্য করেছিল, সেই নামগুলি খুঁজে বের করে তাদের গ্রেফতার করবে।’’

বিজন খুন হওয়ার পরে আচমকা বদলি করে দেওয়া হয়েছিল অশোকনগর থানার ওসি বলাই ঘোষকে। তাঁর জায়গায় অশোকনগরের ওসি করা হয় চিন্তামণি নস্করকে।

তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দলের জেরে বিজনকে খুন হতে হয়েছিল বলে অভিযোগ তুলেছিল বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি। মূল অভিযুক্ত গৌতমকে গ্রেফতারের দাবিতে এলাকার বাসিন্দারা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হস্তক্ষেপের দাবি তুলেছিলেন। সিআইডি তদন্তের দাবি তুলেছিলেন। এলাকায় মিছিল, অবরোধ হয়।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement