বালু-দিলীপের তরজা চলছেই

উত্তর ২৪ জেলা তৃণমূল সভাপতি তথা রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের সঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক তরজা থামার লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ৩১ ডিসেম্বর ২০১৬ ০২:৫২
Share:

গাইঘাটায় বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি ও জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। ছবি: নির্মাল্য প্রামাণিক ও নিজস্ব চিত্র।

উত্তর ২৪ জেলা তৃণমূল সভাপতি তথা রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের সঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক তরজা থামার লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না।

Advertisement

শুক্রবার বিকেলে গাইঘাটার ঠাকুরনগর স্টেশন চত্বরে প্রতিবাদ সভার আয়োজন করে বিজেপি। সেখানে দিলীপবাবু ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জেলা বিজেপি সভাপতি বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ রাজ্য নেতৃত্বের অনেকে। সেখানেই বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, ‘‘মাননীয় খাদ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, আমার হাত-পা ভাঙবেন। যা শুনে আমার বন্ধুরা বললেন, একটা প্রতিবাদ সভা করা উচিত। তাই আজ প্রতিবাদ সভা করলাম।’’ দিলীপবাবুর কথায়, ‘‘বিধানসভায় বালুদার (জ্যোতিপ্রিয়বাবুর ডাকনাম) সঙ্গে দেখা হয়েছিল, ওঁকে বলেছি, মারপিট করতে গরু চোরদের পাঠাবেন না। শক্তপোক্ত লোক পাঠাবেন। কারণ আমরা মারপিট করতে জানি।’’ জ্যোতিপ্রিয়বাবুর উদ্দেশে তাঁর চ্যালেঞ্জ, ‘‘তৃণমূল যেখানেই আমাদের চ্যালেঞ্চ করবে, ভয় দেখাবে, গায়ে হাত তুলবে, সেখানেই সভা করে তার প্রত্যুত্তর দেওয়া হবে।’’

যা শুনে খাদ্যমন্ত্রী পরে বলেন, ‘‘ওঁর কথায় কী প্রতিক্রিয়া দেবো! ওঁর তো দু’কান কাটা। বিধানসভায় দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সম্পর্কে কটূ মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চাইলেন। আবার আজ ফের মুখ্যমন্ত্রী সম্পর্কে কটূ কথা বলেছেন। ওঁর আচরণ পাগলের মতো। উনি রাজনৈতিক ভাবে অশিক্ষিত।’’

Advertisement

এ দিনের সভাকে কটাক্ষ করে তৃণমূল নেতা বলেন, ‘‘ওদের নেতারা তো ঠাকুরনগরে মারধর খায়নি। খেয়েছিল তিন কিলোমিটার দূরে গোবরডাঙায়।’’ জ্যোতিপ্রিয়বাবুর হুশিয়ারি, ‘‘দম থাকলে আগে থেকে জানিয়ে উনি গোবরডাঙায় সভা করুন। ঠাকুরনগরে আমরা পাল্টা সভা করছি শীঘ্রই।’’

প্রসঙ্গত, সম্প্রতি গোবরডাঙা এলাকায় একটি সভায় প্রহৃত হন বিজেপি নেতা কেডি বিশ্বাস-সহ বিজেপির কয়েকজন। অভিযোগ ওঠে, শাসক দলের কর্মী-সমর্থকেরা ওই হামলা চালিয়েছে। যদিও জ্যোতিপ্রিয়বাবু সে সময়ে বলেছিলেন, ‘‘সাধারণ মানুষই বিজেপি নেতাদের প্ররোচনামূলক কথা এবং মুখ্যমন্ত্রীর সম্পর্কে কটূক্তি শুনে প্রতিবাদ করেছেন। ভবিষ্যতে জেলার যেখানেই ওঁরা ওই কথা বলবেন, সাধারণ মানুষ ওঁদের পেটাবেন।’’ বিজেপির রাজ্য সভাপতি এ দিন বলেন, ‘‘ইতিমধ্যেই বসিরহাট, ব্যারাকপুর, বারাসতে সভা করেছি। তারপরে বালুবাবুকে খুঁজে পাওয়া যায়নি।’’

এ দিন জ্যোতিপ্রিয়বাবুর চ্যালেঞ্জের পরে বিজেপি গোবরডাঙায় সভা করে কিনা, এখন সেটাই দেখার।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement