এই বাড়িতেই ঘটে বিস্ফোরণ। — নিজস্ব চিত্র।
ভাঙড়ের কাশীপুরের গানেরআইট গ্রামে বিস্ফোরণের ঘটনায় অপরিচিতদের বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করল পুলিশ। মঙ্গলবার ওই বিস্ফোরণে ভেঙে পড়ে স্থানীয় তৃণমূল কর্মী শরিফুল মোল্লার বাড়ির একাংশ। তাতে জখম হন শরিফুলের স্ত্রী রোশনারা বিবি। সেই রোশনারা অবশ্য বিষয়টি নিয়ে আইএসএফের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন কাশীপুর থানায়। তাঁর দাবি, আইএসএফই এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত। একই সুরে অভিযোগ করছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতারাও। ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ)-কে দিয়ে তদন্তের দাবি তুলেছেন।
মঙ্গলবার বিস্ফোরণের পর থেকে থমথমে গানেরআইট এলাকা। শরিফুলের বাড়ি ঘিরে রেখেছে পুলিশ। সেখানে আপাতত কাউকে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। এ নিয়ে বারুইপুর পুলিশ জেলার সুপার মিস পুষ্পা জানিয়েছেন, অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। সমস্ত দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। মঙ্গলবার বিস্ফোরণের জেরে আহত রোশনারাকে ভর্তি করানো হয়েছিল এলাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে। সেখান থেকে রাতেই তাঁকে স্থানান্তরিত করানো হয়েছে এমআর বাঙুর হাসপাতালে।
বিস্ফোরণের ঘটনার পর এনআইএ-কে দিয়ে তদন্ত করানোর দাবি তুলেছেন নওশাদ। তিনি সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কাছে চিঠিও দিয়েছেন বলেও জানিয়েছেন। ভাঙড়ের ঘটনার সঙ্গে কোনও ‘দেশদ্রোহী সংগঠন’ যুক্ত কি না, তা খতিয়ে দেখা উচিত বলে মত নওশাদের। সিপিএমের দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা কমিটির সদস্য রশিদ গাজির অভিযোগ, পঞ্চায়েত ভোটের মুখে বিভিন্ন জায়গায় বিস্ফোরক মজুত করা হচ্ছে। এ নিয়ে প্রশাসনের কাছে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি তুলেছেন তিনি।
আইএসএফ এবং সিপিএমের অভিযোগ নিয়ে তৃণমুলের ভাঙড়ের পর্যবেক্ষক তথা ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক শওকত মোল্লার দাবি, এই ঘটনা পরিকল্পিত। এই জন্য সরাসরি আইএসএফকেই দায়ী করেছেন তিনি। তাঁর অভিযোগ, ভয় দেখিয়ে শরিফুল মোল্লা এবং তাঁর পরিবারকে আইএসএফে যোগ দিতে বাধ্য করার চেষ্টা হচ্ছে বলেও দাবি তাঁর।