তৎপরতা: বাজি নষ্ট করা হচ্ছে। ইনসেটে, মাইকে প্রচার পুলিশের।
লক্ষ্মীপুজো রাতে হাবড়া শহরে শব্দবাজির দাপট রুখতে অবশেষে নড়ে বসল পুলিশ-প্রশাসন।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে হাবড়া থানার পুলিশের তিনটি দল আলাদা ভাবে এলাকায় তল্লাশি শুরু করেছে। কোথায় কোথায় শব্দবাজি মজুত থাকতে পারে, তা আন্দাজ করেই চলছে তল্লাশি। এ দিন সন্ধ্যা পর্যন্ত পুলিশ বিভিন্ন এলাকায় হানা দিয়ে ১৪০ কেজি শব্দবাজি উদ্ধার করেছে। ধরা পড়েছে তিনজন। পুলিশের সঙ্গে দমকলও রয়েছে। শব্দবাজি উদ্ধারের পরে দমকল তা নষ্ট করে দিচ্ছে।
হাবড়া থানার আইসি গৌতম মিত্র বলেন, ‘‘এখন থেকে বেআইনি শব্দবাজি মজুত, বিক্রি ও কেনার বিরুদ্ধে লাগাতার অভিযান চলবে। ওই সব কাজে যারা যুক্ত থাকবে, তাদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা হবে।’’ পুলিশের পক্ষ থেকে মানুষকে সচেতন করতে প্রচার কর্মসূচিও শুরু হয়েছে। পুলিশের দু’টি গাড়ি এলাকায় ঘুরে মাইকে প্রচার করছে। আইসির ফোন নম্বর (৬২৯৫৩০৬৯০৩) দেওয়া হচ্ছে। বলা হচ্ছে, কোথাও শব্দবাজি মজুত হলে বা ফাটানো হলে বাসিন্দারা যেন এই নম্বরে ফোন করে খবর দেন।
কয়েক বছর আগে লক্ষ্মীপুজোর সময়ে শব্দবাজি উদ্ধার করে পুলিশ থানায় নিয়ে এসেছিল। গাড়ি থেকে শব্দবাজি নামানোর সময়ে তা ফেটে যায়। ওই ঘটনায় পুলিশকর্মী-সহ কয়েকজন জখম হয়েছিলেন। তারপর থেকে শব্দবাজির বিরুদ্ধে অভিযানে দমকলকে রাখা হয়। বাজি উদ্ধার করার পরেই দমকল তা নষ্ট করে দেয়।
আপাতত পুলিশের ভূমিকায় স্বস্তি বোধ করছেন বাসিন্দারা। তাঁদের কথায়, ‘‘কিছু মানুষ শব্দবাজি সম্পর্কে এখনও সচেতন নন। তাদের জন্য বাকিদের ভোগান্তি হয়। পুলিশি অভিযান ও ধরপাকড়ই শব্দবাজির দাপট কমানোর একমাত্র দাওয়াই।’’ শুক্রবার পুজো। সে ক্ষেত্রে পুলিশি অভিযান আরও আগে শুরু করলে ভাল হত বলে মনে করছেন তাঁরা। লক্ষ্মীপুজোর সন্ধ্যা থেকে রাত পর্যন্ত শব্দবাজির দাপট শুনে অভ্যস্ত হাবড়া। পুরপ্রশাসক নীলিমেশ দাস বলেন, ‘‘মানুষ সচেতন না হলে এই প্রবণতা বন্ধ করা কঠিন।’’ ছবি: সুজিত দুয়ারি