ফেরা: বাড়ির পথে সায়ন। নিজস্ব চিত্র
মানসিক ভারসাম্যহীন এক যুবককে পরিবারের হাতে তুলে দিল পুলিশ।
বৃহস্পতিবার জীবনতলা থানার পুলিশ ওই যুবকের পরিবারের খোঁজ করে তাদের হাতে তুলে দেয়। বছর তিরিশের মানসিক ভারসাম্যহীন যুবকের নাম সায়ন সরকার। বাড়ি কলকাতার সন্তোষপুরে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, বুধবার ভোর রাতে জীবনতলা থানার সরবেড়িয়ার কাছে কনকনে ঠান্ডার মধ্যে রাস্তার ধারে ওই যুবককে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখেন স্থানীয় লোকজন। প্রচণ্ড ঠান্ডায় কাঁপছিলেন যুবক। চেহারা, পোশাকে সম্ভ্রান্ত পরিবারের বলেই মনে হয় স্থানীয় লোকজনের। যুবকের পরনে ছিল টি-শার্ট ও জিনস। ঠান্ডার মধ্যে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন যুবক। স্থানীয় লোকজন থানায় খবর দেন। পুলিশ গিয়ে যুবককে উদ্ধার করে তাঁকে গরম দুধ খাইয়ে, নতুন জ্যাকেট কিনে দেয়। পরে তাঁকে স্থানীয় মঠেরদিঘি হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখান প্রাথমিক চিকিৎসা ও শুশ্রূষার পরে খানিকটা সুস্থ হন যুবক। যদিও পরিচয় জানাতে পারেননি। তাঁর কাছে মেলে একটি এটিএম কার্ড ও মোবাইল নম্বর। পুলিশ এটিএম কার্ড থেকে যুবকের নাম জানতে পারে। ফোন নম্বরেও যোগাযোগ করা হয় পরিবারের সঙ্গে। সেই মতো খবর পেয়ে এ দিন জীবনতলা থানায় আসেন সায়নের বাবা পরিমল ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যেরা। পুলিশের উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন তাঁরা। হারিয়ে যাওয়ার পরে পাটুলি থানায় ডায়েরি করেছিলেন পরিবারে লোকজন। তাঁরা জানান, সায়ন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। পরিমল বলেন, ‘‘ছেলের মানসিক সমস্যা রয়েছে। হঠাৎ হঠাৎ বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়ে। এর আগেও একবার কাউকে কিছু না জানিয়ে চলে গিয়েছিল।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘পুলিশ যে ভাবে আমার ছেলেকে উদ্ধার করে ফিরিয়ে দিল, তা কোনও দিন ভুলব না।’’