সুরক্ষা বাড়াতে পুলিশ চৌকি করা হল বসিরহাট জেলা হাসপাতালে। বর্তমানে ওই চৌকিতে এক অফিসার এবং চার পুলিশ কর্মী রাখা হচ্ছে।
বসিরহাটের পুলিশ এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রোগীর মৃত্যু কিংবা চিকিৎসক সময় মতো আসছেন না— এমন সব নানা অভিযোগে প্রায়ই হাসপাতালে অশান্তি বাধে। অনেক সময়ে দেখা যায়, রোগীর আত্মীয়-পরিজন এবং স্থানীয় মানুষও কারণে-অকারণে হাসপাতালে ভাঙচুর চালায়। স্বাস্থ্যকর্মী, এমনকী চিকিৎসকদের মারধরের ঘটনাও ঘটেছে এর আগে। বিশেষ করে গভীর রাতে আসা রোগীদের সঙ্গে থাকা মানুষজন নৈশপ্রহরীর অভাবে প্রায়ই গণ্ডগোলে জড়িয়ে পড়ে। এতে করে একদিকে রাতের দিকের স্বাস্থ্যকর্মীরা যেমন ভয়ে ভয়ে থাকেন, তেমনই চিন্তিত থাকেন চিকিৎসকেরা।
হাসপাতালে কাজের সঙ্গে যুক্ত অনেকের কথায়, ‘‘রোগী গুরুত্বর অসুস্থ থাকলে তাঁকে কলকাতায় স্থানান্তরিত করাই নিয়ম। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে তেমন ঘটনাতেও রোগীর আত্মীয়-স্বজনেরা ক্ষোভ জানাতে থাকেন। তাঁদের বোঝাতে গেলে অনেক সময়ে উল্টে গণ্ডগোল বেধে যায়। তা ছাড়া, গভীর রাতে দুষ্কৃতীরাও হাসপাতালের মধ্যে ঢুকে পড়তে পারে।
এ সব কারণে দীর্ঘ দিন ধরেই স্বাস্থ্যকর্মীদের দাবি ছিল, হাসপাতালে মধ্যে একটি পুলিশ চৌকি করা হোক। দাবির গুরুত্ব বুঝেই এমন সিদ্ধান্ত নিল পুলিশ।