ভাঙাচোরা: পড়ে রয়েছে জেটি। নিজস্ব চিত্র
ঘূর্ণিঝড় বুলবুলে গোসাবা, সাগর, নামখানা-সহ সুন্দরবনের বেশ কয়েকটি ব্লকে ব্যাপক পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে। ঝড়ের দাপটে ভেঙে পড়েছে বেশ কয়েকটি কংক্রিটের জেটি। বেশ কয়েক জায়গায় নদী পার হতে সমস্যা দেখা দিয়েছে। আর সেই কারণে যে সমস্ত এলাকায় জেটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দ্রুত সেই সমস্ত এলাকায় জেটি তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসন।
নদীবেষ্টিত এই সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় প্রায় পঞ্চাশটি নতুন কংক্রিটের জেটি তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসনের তরফ থেকে এ বিষয়ে সুন্দরবন উন্নয়ন দফতরের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। প্রস্তাব পেয়ে এ বিষয়ে সার্ভের কাজও শুরু করেছে সুন্দরবন উন্নয়ন দফতর। গোসাবার বিডিও সৌরভ মিত্র বলেন, “বুলবুল ঝড়ের দাপটে পাখিরালয়ের একটি জেটির সামনের বেশ খানিকটা অংশ ভেঙে নদীগর্ভে তলিয়ে গিয়েছে। সেটি চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। অন্য দিকে, কুমিরমারি এলাকাতেও একটি জেটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আরও বেশ কয়েকটা জেটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ঠিকই, তবে এই দু’টি জেটি বেশি গুরুত্বপূর্ণ হওয়ায় এগুলিকে দ্রুত তৈরি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’’ প্রশাসনের একটি সূত্র জানাচ্ছে, প্রায় ৫০টি জেটি তৈরি হবে। পাখিরালয়ের জেটিটি ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। পর্যটন মরসুমে তাই সমস্যায় পড়েছেন দূরদূরান্ত থেকে আসা পর্যটকেরা। স্থানীয় বাসিন্দা অমর খাটুয়া, সমীর মণ্ডলরা বলেন, “জেটি ভেঙে যাওয়ার ফলে এই পর্যটন মরসুমে খুবই অসুবিধা হচ্ছে। একটি মাত্র জেটি দিয়ে পর্যটকেরা ওঠানামা করছেন। শনি- রবি ও ছুটির দিনগুলিতে এতটাই ভিড় হচ্ছে, যে কোনও সময়ে দুর্ঘটনাও ঘটতে পারে।’’
জেলা প্রশাসনের কাছ থেকে এ বিষয়ে নির্দেশ পেয়ে ইতিমধ্যেই সুন্দরবন উন্নয়ন দফতরের তরফ থেকে পাখিরালয়ে জেটি তৈরির জন্য সার্ভের কাজ শেষ করেছেন ইঞ্জিনিয়াররা। একই ভাবে গোসাবা ব্লকের কুমিরমারিতেও একটি গুরুত্বপূর্ণ জেটি ভেঙেছে বুলবুলের দাপটে। সেটিরও সার্ভের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। দ্রুত এই জেটিগুলির পাশেই নতুন কংক্রিটের জেটি তৈরির কাজ শুরু হবে বলে গোসাবা ব্লক প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে।