Water Tank

পানীয় জলের আজও ভরসা টিউবওয়েল

দেড়শো বছরের পুরোনো জয়নগর-মজিলপুর পুর এলাকায় পানীয় জলের জন্য নাগরিকদের নির্ভর করতে হচ্ছে টিউবওয়েলের উপরে।

Advertisement

সমীরণ দাস

জয়নগর শেষ আপডেট: ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০১:২৪
Share:

তৈরি ট্যাঙ্ক। চালু হয়নি পরিষেবা। ছবি: সুমন সাহা

ঘরে ঘরে পানীয় জল পৌঁছে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতায় এসেছিল বর্তমান পুর বোর্ড। কিন্ত আরও একটা পুর ভোটের মুখে দাঁড়িয়েও জয়নগর-মজিলপুর পুর এলাকার মানুষের ভরসা সেই টিউবওয়েলই। পুর কর্তাদের অবশ্য দাবি, পানীয় জল পৌঁছে দেওয়ার সব পরিকাঠামো প্রস্তুত। শীঘ্রই পরিষেবা শুরু হবে।

Advertisement

দেড়শো বছরের পুরোনো জয়নগর-মজিলপুর পুর এলাকায় পানীয় জলের জন্য নাগরিকদের নির্ভর করতে হচ্ছে টিউবওয়েলের উপরে। জার বন্দি জল কিনেও খাচ্ছেন অনেকে। পানীয় জলের সমস্যা এখানে দীর্ঘ দিনের। গত পুর ভোটের অন্যতম চর্চার বিষয় ছিল জল। ভোটের আগে বর্তমান পুর বোর্ড ঘরে ঘরে আর্সেনিকমুক্ত পানীয় জল পৌঁছে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। পুরপ্রধান সুজিত সরখেল বলেন, ‘‘ঘরে ঘরে জল পৌঁছে দেওয়ার সমস্ত পরিকাঠামো আমরা তৈরি করে ফেলেছি। যাঁরা জলের জন্য আবেদন করেছেন, তাঁদের বাড়িতে পাইপলাইন পাতার কাজও হয়ে গিয়েছে। দু’সপ্তাহের মধ্যেই ঘরে বসে জল পাবেন এলাকার মানুষ।’’

পুরসভার এই উদ্যোগকে অবশ্য কটাক্ষ করছে তৃণমূল। টাউন তৃণমূল সভাপতি প্রবীর চক্রবর্তীর কথায়, ‘‘পুরসভা যে জল দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে, তা মাটির নীচের জল। সারফেস ওয়াটার নয়। এর আগে তৃণমূলের বোর্ড থাকাকালীনই আমরা ঘরে ঘরে মাটির নীচের জল পৌঁছে দিতে উদ্যোগ করেছিলাম। কিন্তু তখন সিপিএম-কংগ্রেস সেই কাজে বাধা দেয়।’’ সে সময়ে মাটির উপরে ধরে রাখা জল সরবরাহের দাবি উঠেছিল। পুরসভা এখন সেই মাটির নীচের জলই বাড়ি বাড়ি দেওয়ার পরিকল্পনা করছে বলে জানান প্রবীর। যা ভোটের আগে ‘চমক’ বলেই তাঁর কটাক্ষ। পুরপ্রধান জানান, সারফেস ওয়াটার সরবরাহ নিয়ে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের সঙ্গে চুক্তি হয়েছে। এর জেরেই বাসিন্দাদের কথা মাথায় রেখে স্থানীয় ভাবে জল সরবরাহের ব্যবস্থা করছে পুরসভা। সারফেস ওয়াটার এলেই তা সরবরাহ করা শুরু হবে। জল সরবরাহকে কেন্দ্র করে নির্বাচনী চমকের অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘নির্বাচনের সঙ্গে এর কোনও সম্পর্ক নেই। অনেক দিন আগেই জল সরবরাহের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। জলের জন্য আবেদন জানানোর বিজ্ঞপ্তিও দেওয়া হয়েছে। মানুষের উৎসাহ বাড়াতে দু’দফায় খরচও কমানো হয়েছে। নির্দিষ্ট সংখ্যক আবেদন আসার পরেই আমরা জল সরবরাহের কাজ শুরু করছি।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement