প্রতিবাদ: দেগঙ্গায় পুলিশকে ঘিরে চলছে বিক্ষোভ। সোমবার। নিজস্ব চিত্র
এক দিকে দীর্ঘদিন ধরে বেহাল অবস্থায় পড়ে আছে রাস্তা। অন্য দিকে, ধুলোর চোটে নাভিশ্বাস উঠছে এলাকার মানুষের। সম্প্রসারণের প্রতিশ্রুতি দিলেও কাজ শুরু হয়নি এখনও। সেই কারণে শনিবার সকাল থেকে বাঁশ ও গাছের গুঁড়ি ফেলে পথ অবরোধ করলেন স্থানীয় মানুষ। দেগঙ্গার রামনগর মোড়ে এ দিন ঘণ্টা চারেকের ওই অবরোধের জেরে যান চলাচল স্তব্ধ হয়ে যায় বেড়াচাঁপা-হাড়োয়া রোডে। নাজেহাল হতে হয় বারাসত ও রাজারহাটমুখী অফিসযাত্রী এবং স্কুলপড়ুয়াদের। পরে পুলিশ গিয়ে দাবি মানার প্রতিশ্রুতি দিলে অবরোধ উঠে যায়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, তিন বছর ধরে বেহাল অবস্থায় পড়ে থাকা ওই রাস্তাটির সম্প্রসারণ করা হবে বলে জানায় উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের পূর্ত দফতর। যার জন্য ৩০ কোটি টাকা অনুমোদনও করা হয়। বেড়াচাঁপা থেকে হাড়োয়া পর্যন্ত সাড়ে দশ কিলোমিটার দীর্ঘ রাস্তাটি ২৮ ফুট চওড়া করার পাশাপাশি দু’দিকে নিকাশি নালা তৈরিরও কথা রয়েছে। সেই কাজের জন্য কেটে ফেলা হয়েছে রাস্তার ধারের বহু প্রাচীন গাছ। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, গাছ কাটার পরে কয়েক মাস পেরিয়ে গেলেও রাস্তার কাজ শুরু হয়নি।
এলাকাবাসীর আরও অভিযোগ, রাস্তাটির এক দিক ভরে গিয়েছে বড় বড় খানাখন্দে। পাথর ফেলে সেই খানাখন্দ ভরাটের কাজ চলছে। যার জেরে ধুলোয় ভরে গিয়েছে এলাকা। গাড়ি চলাচলের ফলে সেই ধুলো বাতাসে উড়ছে সারাক্ষণ। আজহার আলি মণ্ডল নামে এক অবরোধকারী বলেন, ‘‘ধুলোর দাপটে চর্মরোগ, শ্বাসকষ্ট শুরু হয়েছে।’’ মফিজুল হক নামে আর এক অবরোধকারীর বক্তব্য, ‘‘ধুলোর জন্য সামনের কিছু ঠাহর করা যায় না। সাইকেল থেকে নেমে হেঁটে চলতে হয়।’’
এ ব্যাপারে জেলা পরিষদের পূর্ত দফতরের কর্মাধ্যক্ষ নারায়ণ গোস্বামী জানান, দরপত্র ডাকার প্রক্রিয়ায় সমস্যা হওয়ায় রাস্তা সম্প্রসারণের কাজে দেরি হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘‘এখন রাস্তা মেরামতি চলছে। শীঘ্রই জটিলতা কাটিয়ে সম্প্রসারণের কাজ শুরু হবে।’’