কালীপুজোয় মেতেছে মণ্ডপশিল্পীদের গ্রাম

প্রত্যন্ত গ্রামটিতে আগে একটিই পুজো হত। বছর কয়েক আগে নিজেদের মধ্যে মনোমালিন্য হওয়ায় শুরু হয় দু’টি পুজো। বেশ কয়েক বছর ধরেই চলছে সেই রীতি।

Advertisement

দিলীপ নস্কর

মন্দিরবাজার শেষ আপডেট: ২১ অক্টোবর ২০১৭ ০২:৩৩
Share:

উৎসব: সুতোবেচা সবুজ সঙ্ঘের পুজো। নিজস্ব চিত্র

গ্রামের ৯০ শতাংশ মানুষই মণ্ডপশিল্পী। দুর্গাপুজোর সময়ে কলকাতা, দিল্লি, মুম্বই, গুজরাতে কাজে ব্যস্ত থাকেন। পুজোর সময়ে গ্রাম থাকা হয় না। তবে উৎসবের আনন্দটা ওঁরা উপভোগ করেন আর কয়েকটা দিন বাদে। মন্দিরবাজারের উত্তর সুতোবেচা গ্রামের প্রত্যেক বাসিন্দাই অপেক্ষায় থাকেন কালীপুজোর জন্যে।

Advertisement

প্রত্যন্ত গ্রামটিতে আগে একটিই পুজো হত। বছর কয়েক আগে নিজেদের মধ্যে মনোমালিন্য হওয়ায় শুরু হয় দু’টি পুজো। বেশ কয়েক বছর ধরেই চলছে সেই রীতি। গ্রামের ঢোকার মুখেই চোখে পড়বে পুরনো সবুজ সঙ্ঘের কালীপুজোর মণ্ডপ। এ বছর তাদের মণ্ডপ সাজানো হয়েছে উড়ন্ত রাজহাঁসের নৌকোর আদলে। আর মণ্ডপের মধ্যে অধিষ্ঠান করছেন দশভূজা কালী। এ বার এই ক্লাবের পুজোটি পা দিল ৪৯তম বর্ষে। পুজোর দিনগুলিতে আয়োজন করা হয়েছে নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের।

ক্লাব সদস্য সাহেব চক্রবর্তী, লক্ষ্মণ হালদার, সৌমিত্র হালদারেরা জানান, সারা বছর মণ্ডপে তৈরির কাজে ভিনরাজ্যে থাকতে হয় তাঁদের। ফলে দুর্গাপুজোয় যোগ দিতে পারেন না। নতুন পোশাক কেনা থেকে আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে দেখা করা— সবই হয় কালীপুজোয়।

Advertisement

শিল্পীরা লক্ষ্মীপুজোর পরেই ফিরে আসেন। আর তারপরেই কালীপুজো ঘিরে মেতে ওঠে গ্রাম। এ সময়ে শিল্পীদের সঙ্গে গ্রামের মেয়েরাও হাত লাগান মণ্ডপসজ্জার কাজে।

এই মণ্ডপ থেকে ঠিক ১০০ মিটার দূরে গ্রামের অন্য পুজোটির উদ্যোক্তা আদি যুবক সঙ্ঘ। এ বার তাদের মণ্ডপ তৈরি হয়েছে টাইটনিক জাহাজের আদলে। যার উচ্চতা প্রায় ৭০ ফুট।

দু’টি পুজোর আয়োজনে অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ বাহারি আলোকসজ্জা। সে সব আয়োজন সার্থক করে প্রতিবারের মতো দেখা গিয়েছে মানুষের ঢল।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement