ওভারহেডের তার পড়ে ছিঁড়ে বিপত্তি

বুধবার বেলা ১২টা ৫ মিনিটে আপ ক্যানিং লোকালে ঘটনাটি ঘটেছে। বন্ধ হয়ে যায় ট্রেন চলাচল। রেল পুলিশ এসে দড়ি দিয়ে ট্রেনের ওই চত্বর ঘিরে ফেলে। দমকলের একটি ইঞ্জিন আসে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ক্যানিং শেষ আপডেট: ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ০২:৪০
Share:

বিপত্তি: কামরায় পোড়া দাগ। সামসুল হুদা

ট্রেনের কামরায় বসে কানে হেডফোন দিয়ে গান শুনছিলেন এক যাত্রী। হঠাৎ বিকট আওয়াজ। হুড়মুড়িয়ে ট্রেন থেকে নামতে গিয়ে পড়ে গিয়ে চোট পান তিনি। কামরা থেকে নেমে দেখেন, ওভারহেডের তার ছিঁড়ে ট্রেনের উপরে পড়ে আগুন ধরে গিয়েছে।

Advertisement

বুধবার বেলা ১২টা ৫ মিনিটে আপ ক্যানিং লোকালে ঘটনাটি ঘটেছে। বন্ধ হয়ে যায় ট্রেন চলাচল। রেল পুলিশ এসে দড়ি দিয়ে ট্রেনের ওই চত্বর ঘিরে ফেলে। দমকলের একটি ইঞ্জিন আসে। যদিও আগুন কিছুক্ষণের মধ্যে নিজে থেকে নিভেও যায়। তবে এর জেরে বিকেল সাড়ে ৪টে পর্যন্ত আপ ও ডাউন লাইনে ট্রেন বন্ধ ছিল। বিকেল গড়ালে ক্রমশ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।

প্রত্যক্ষদর্শী গোকুল সাঁফুই বলেন, ‘‘কানে হেডফোন ছিল। তারই মধ্যে আগুন আগুন বলে চিৎকারটা কানে এল। আর তার আগে একটা জোরাল শব্দ। দৌড়তে গিয়ে পড়ে যাই। দেখি ততক্ষণে ওভারহেডের তার ছিঁড়ে ট্রেনের উপরে পড়েছে। আগুন বেরোচ্ছে।” প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, হুড়োহুড়িতে পড়ে গিয়ে কয়েকজন আরও চোট পেয়েছেন। আশা দাস নামে এক মহিলার পা ভেঙেছে। তাঁকে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার ছিঁড়ে সমস্যার কথা মানলেও কারও ক্ষতি হয়নি বলেই দাবি করেছেন মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক রবি মহাপাত্র।

Advertisement

প্যান্টোগ্রাফের সঙ্গে ওভারহেডের তার জড়িয়েই বিপত্তি, জানিয়েছে রেল। কয়েক ঘণ্টা ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখার ক্যানিং লাইনে। ওভারহেডের তার কেটে যাওয়ায় পুরো রেলের এলাকা জুড়েই বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়। পরে সোনারপুর থেকে টাওয়ার ভ্যান এসে লাইন মেরামতির কাজ শুরু করে।

তবে দীর্ঘক্ষণ ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকায় সমস্যায় পড়েন যাত্রীরা। অনেকে বাড়ি ফেরার জন্য ট্রেন না পেয়ে গাড়ি ভাড়া করেন। কেউ কেউ আবার বাসে, অটোতে করে বারুইপুর চলে যান। সেখান থেকে কলকাতার ট্রেন ধরেন। অনেকেরই জরুরি কাজে এ দিন আর কলকাতা যাওয়া হয়নি।

এ দিন ক্যানিংয়ে কাজে এসেছিলেন ভুবন মণ্ডল। বললেন, ‘‘এলাকাটা ভাল চিনতাম না। লোকজন বলল অটো করে বারুইপুর চলে যেতে। সেখান থেকে ট্রেন ধরতে। এই করতে গিয়ে বাড়তি কিছু টাকা খরচ হল।’’ বাসন্তীর পাঁচজন স্কুল শিক্ষিকা বাড়ি ফেরার সময়ে বিকেলের ট্রেন না পেয়ে ক্যানিং থেকে ১২০০ টাকা দিয়ে গাড়ি ভাড়া করেন। তাঁদের মধ্যে পারমিতা রায় বলেন, ‘‘এমন ভোগান্তি হবে জানলে আজ আসতামই না।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement