দাম বাড়ায় পেঁয়াজের দোকানে লোক নেই। —নিজস্ব চিত্র
কেউ কিনছেন একশো। কেউ নিচ্ছেন দু’শো। এর বেশি কেউ উঠতেই পারছেন না। কারণ, এখন পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৭০ টাকা কেজি দরে।
হাসনাবাদের বাইলানি বাজারে এ দিন অনেকেই পেঁয়াজ না কিনেও বাড়ি ফিরেছেন। পেঁয়াজের দাম অনেক আগেই ১০০ পার হয়েছে। এ বার ১৭০ ছুঁয়ে ফেলল। তাই পেঁয়াজ কিনতে এসে চোখে জল আসার উপক্রম ক্রেতাদের। এই বাজারে বিভিন্ন বিক্রেতা পেঁয়াজ বিক্রি করছেন বিভিন্ন দামে। কেউ বিক্রি করছেন ১৭০ টাকা কেজি দরে। কেউ আবার একটু ছোট পেঁয়াজ বিক্রি করছেন ১৬০ টাকা কেজি দরে। এই বাজারের বিক্রেতারা জানান, বুধবার এই বাজারে ভাল পেঁয়াজের দাম ছিল ১৬০ টাকা কেজি। শুক্রবার থেকে তার দাম বেড়ে হয়েছে ১৭০ টাকা।
এই বাজারের পেঁয়াজ বিক্রেতারা মূলত সোমবার ও শুক্রবার বাজারে আসা পাইকারি বিক্রেতাদের থেকে পেঁয়াজ কেনেন। এবং খুচরো বিক্রি করেন। এ বিষয়ে নিতাই মণ্ডল নামে এক পেঁয়াজ বিক্রেতা বলেন, ‘‘ভাল পেঁয়াজ ১৬০ টাকা কেজি দরে পাইকারি বিক্রেতাদের থেকে কিনেছি। এবং ১৭০ টাকা কেজি দরে খুচরা বিক্রি করছি। কিন্তু পেঁয়াজের দাম শুনে কেউ নিচ্ছে না। বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বসে আছি একটাও পেঁয়াজ বিক্রি হয়নি।’’ এই অভিজ্ঞতা শুধু নিতাইয়ের একার নয়। এই বাজারের অন্য আনাজ ব্যাবসায়ী রিতা মাইতি বলেন, ‘‘আগে আমরা পাইকারি ব্যবসায়ীদের থেকে সপ্তাহে দু’বস্তা করে পেঁয়াজ কিনতাম। কিন্তু এখন সপ্তাহে আট-দশ কেজি করে পেঁয়াজ কিনছি। তাও সব বিক্রি হচ্ছে না।’’
এই বাজারে দেখা মিলল মন্টু পাত্র, দিলীপ দাস, বনানী চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে। তাঁরা বলেন, ‘‘অন্য আনাজ কিনলাম কিন্তু পেঁয়াজ কিনলাম না। গত রবিবার ভাল পেঁয়াজের দাম ছিল ১৫০ টাকা। তখন থেকেই পেঁয়াজ কেনা বন্ধ করে দিয়েছি। এখন দেখছি আরও দাম বেড়েছে। জানি না কবে পেঁয়াজের দাম নামবে। দাম কমলে তবেই পেঁয়াজ কিনব।’’
যে সব পেঁয়াজ আগে কেউ কিনতে চাইতেন না অর্থাৎ খুব নিম্ন মানের পেঁয়াজ, সেই পেঁয়াজও এখন ১৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। কিছু মানুষ তাই কিনছেন।
সব মিলিয়ে পেঁয়াজের ঝাঁজে এখন চোখে জল সাধারণ মানুষের।