ফাইল চিত্র।
কয়েকদিনের ব্যবধানে ফের বাঘের হানায় মৃত্যুর ঘটনা ঘটল সুন্দরবনে। এই নিয়ে গত ১০ দিনে বাঘের হামলায় প্রাণ হারালেন তিন মৎস্যজীবী।
বন দফতর ও স্থানীয় সূত্রের খবর, বুধবার সকালে সুন্দরবন কোস্টাল থানার অন্তর্গত কুমিরমারি রায় পাড়া থেকে ডিঙি নৌকা নিয়ে কাঁকড়া ধরতে ঝিলা ২ নম্বর জঙ্গলে গিয়েছিলেন সুনীল (৪৫) এবং তাঁর দুই সঙ্গী কার্তিক সর্দার ও ঘনশ্যাম সর্দার। খাঁড়ির মধ্যে কাঁকড়া ধরার সময় জঙ্গল থেকে বেরিয়ে একটি বাঘ ঝাঁপিয়ে পড়ে সুনীলের ঘাড়ে কামড় বসায়। তাঁর সঙ্গীরা কাঁকড়া ধরার শিক ও লাঠি নিয়ে সুনীলকে বাঘের কবল থেকে উদ্ধারের চেষ্টা করেন। রক্তাক্ত সুনীলকে উদ্ধার করেন তাঁরা। বাধা পেয়ে বাঘটি জঙ্গলে ফিরে যায়। সুনীলকে নৌকায় চাপিয়ে গ্রামের দিকে রওনা দিলেও গ্রামে ফেরার আগেই মৃত্যু হয় তাঁর।
কুমিরমারি পঞ্চায়েতের প্রধান দেবাশিস মণ্ডল বলেন, ‘‘পেটের টানে কাঁকড়া ধরতে গিয়ে ওঁরা বাঘের মুখে পড়েন। মৃতের পরিবারের পাশে রয়েছি আমরা। বারবার সকলকে জঙ্গলে যেতে নিষেধ করা হলেও অনেকেই তা শুনছেন না। তাই বিপদ বাড়ছে।’’
সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্পের সহ ক্ষেত্র অধিকর্তা সৌমেন মণ্ডল বলেন, ‘‘একটি ঘটনার কথা শুনেছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে ওঁদের কাছে বৈধ অনুমতিপত্র ছিল না।’’
আট দিন আগে ভগবতী মণ্ডল নামে এক মৎস্যজীবীর মৃত্যু হয় বাঘের হামলায়। গত রবিবার আনন্দ ধর নামে এক মৎস্যজীবী প্রাণ হারান বাঘের হানায়।