ছেলের সঙ্গে বৃদ্ধা। ছবি: সুজিত দুয়ারি
হাবড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এক বৃদ্ধা নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিলেন দিন কয়েক আগে। দুই যুবককের তৎপরতায় তিনি বাড়ি ফিরলেন।
বৃদ্ধার ছেলে দেবদুলাল দাস হাবড়া থানায় ডায়েরি করেছিলেন। মুখ্যমন্ত্রী, খাদ্যমন্ত্রী-সহ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। বিভিন্ন এলাকায় পোস্টার সাঁটা হয়েছিল। পুলিশের তরফে বৃদ্ধার খোঁজে অটোয় মাইক বেঁধে প্রচার করা হয়। এত কিছু পরেও মায়ের হদিস পাচ্ছিলেন না ছেলে।
বৃদ্ধার নাম মায়ারানি দাস। বয়স প্রায় আশি। বাড়ি অশোকনগর- কল্যাণগড় পুরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে। ৮ ডিসেম্বর মাকে হাবড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে। স্নায়ু ও শ্বাসকষ্টের সমস্যা ছিল। পর দিন বিকেল থেকে তাঁকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। শুক্রবার বারাসত স্টেশনে মাকে খুঁজছিলেন দেবদুলাল। সে সময়ে তাঁর মোবাইলে পরিচিত এক যুবকের ফোন আসে। যুবক জানান, মায়ের খোঁজ মিলেছে শিয়ালদহ স্টেশনে। দেবদুলাল সেখানে পৌঁছে যান। মাকে উদ্ধার করে আনেন। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, দেবদুলালের প্রতিবেশী যুবক শুভায়ন দে শুক্রবার সন্ধ্যায় কাজ শেষে বাড়ি ফিরছিলেন। তাঁর নজরে পড়ে, শিয়ালদহ স্টেশনে বসে আছেন মায়ারানি। তিনি মোবাইলে ছবি তুলে তাঁর বন্ধু সৌম্যজিতকে পাঠান। সৌম্যজিৎ বৃদ্ধাকে চিনতে পারেন। সৌম্যজিৎ ফোন করে বৃদ্ধার ছেলেকে জানান। শনিবার বাড়িতে গিয়ে দেখা গেল, ঘুমোচ্ছেন মায়ারানি। মাথার সামনে বসে ছেলে। মায়ের মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছিলেন। মাকে ফিরে পেয়ে খুবই খুশি। দুই যুবককে বহু বার কৃতজ্ঞতা জানালেন।