Barasat

বেড়েছে গাড়ি বিক্রি, আইন ভাঙায় জরিমানাও ঊর্ধ্বমুখী

এই ক্ষেত্রে আয়ের নিরিখে রাজ্যে শীর্ষে রয়েছে কলকাতা। উত্তর ২৪ পরগনা আঞ্চলিক পরিবহণ দফতরের এক কর্তা জানান, কলকাতায় দফতরের ৬টি কার্যালয় রয়েছে।

Advertisement

ঋষি চক্রবর্তী

বারাসত শেষ আপডেট: ০৩ জুন ২০২৩ ০৬:২৩
Share:

হেলমেট ছাড়া কানে মোবাইল। এমন চালকদের থেকে চলছে জরিমানা আদায়। দত্তপুকুরের পিরগাছায় ছবিটি তুলেছেন সুদীপ ঘোষ

নতুন গাড়ির রেজিস্ট্রেশন, ট্যাক্স এবং রাস্তাঘাটে গাড়িচালকদের নিয়মভাঙার ফলে প্রাপ্ত জরিমানা থেকে গত দু’বছরে বিপুল আয় করেছে উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিবহণ দফতর। আয়ের নিরিখে রাজ্যের মধ্যে কলকাতার পরেই রয়েছে এই জেলা।

Advertisement

জেলা আঞ্চলিক পরিবহণ দফতর সূত্রের খবর, ২০২০ সালে এই জেলায় বাইক-সহ ১১০৪৮৮টি নতুন গাড়ির রেজিষ্ট্রেশন হয়েছিল। ২০২১ সালে ৯৭৯৭৭টি, ২০২২ সালে ১০১১৩৭টি এবং ২০২৩ সালের প্রথম চার মাসে ২৭৬৯০টি নতুন গাড়ির রেজিস্ট্রেশন হয়েছে। এর মধ্যে মধ্যে বাইকের সংখ্যাই বেশি। গাড়ি কেনার সংখ্যা বৃদ্ধির ফলে কোষাগারে ঢুকেছে বেশি টাকা। সূত্রের দাবি, ২০২০-২০২১ অর্থবর্ষে উত্তর ২৪ জেলার আঞ্চলিক পরিবহণ দফতরের রাজস্ব আদায় হয়েছিল প্রায় ২৭৩ কোটি টাকা। পরবর্তী দুই অর্থবর্ষে আয় বেড়ে হয় প্রায় ২৯৪ কোটি ও ৩৬০ কোটি টাকা।

এই ক্ষেত্রে আয়ের নিরিখে রাজ্যে শীর্ষে রয়েছে কলকাতা। উত্তর ২৪ পরগনা আঞ্চলিক পরিবহণ দফতরের এক কর্তা জানান, কলকাতায় দফতরের ৬টি কার্যালয় রয়েছে। সেখানে মাত্র ৪টি কার্যালয় নিয়েই টক্কর দিচ্ছে উত্তর ২৪ পরগনা আঞ্চলিক পরিবহণ দফতর। তার উপরে জেলায় পাঁচটি মহকুমা থাকলেও চারটি মহকুমা জেলার আঞ্চলিক পরিবহণ দফতরের আওতাভুক্ত। বিধাননগর জেলার বাইরে। নতুন গাড়ির রেজিষ্ট্রেশন, ট্যাক্সের পাশাপাশি জরিমানা থেকেও আয় বেড়েছে। এক কর্তা জানান, এর মানে আগের তুলনায় নিয়ম না মেনে গাড়ি চালানোর সংখ্যা বেড়েছে। গতি নিয়ন্ত্রণে না রেখে, অতিরিক্ত পণ্য পরিবহণ, হেলমেট ছাড়া বাইক চালানোর প্রবণতাও বেড়েছে। ফলে দুর্ঘটনা ঘটছে। দফতর সূত্রের খবর, রাস্তায় আগের তুলনায় ট্রাফিকের সংখ্যা বাড়ানোর ফলে নজর এড়িয়ে পার পাওয়া কঠিন হচ্ছে।

Advertisement

উত্তর ২৪ পরগনা জেলা আঞ্চলিক পরিবহণ দফতরের আধিকারিক প্রদীপ মজুমদার বলেন, “রাজ্য সরকারের নিয়ম মতো এবং জেলাশাসকের নির্দেশ মেনে আমরা কাজ করছি। সাফল্যও আসছে। জেলার পরিবহণ ব্যবস্থার উন্নয়নে নানা পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। আগামী দিনে রাজস্ব আদায় আরও বাড়ানো চেষ্টা চলছে। দফতরের আধিকারিক ও কর্মীদের পরিশ্রমের কারণেই এই সাফল্য এসেছে।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement