—প্রতীকী চিত্র।
লোকসভা ভোটের প্রচারে কল্যাণীর জনসভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গোবরডাঙার বন্ধ গ্রামীণ হাসপাতাল নতুন করে চালুর আশ্বাস দিয়েছিলেন। সেই মতো এ বার হাসপাতালটি চালু করতে উদ্যোগী হল উত্তর ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসন। সোমবার এ নিয়ে জেলাশাসকের দফতরে একটি বৈঠক হয়। তাতে হাসপাতালটিকে আরবান কমিউনিটি হেল্থত সেন্টার (ইউসিএইচসি) হিসেবে চালু করার সিদ্ধান্ত হয়।
এ দিনের ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের জনস্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ অজিত সাহা, গোবডাঙার পুরপ্রধান শঙ্কর দত্ত, মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক, বিডিও, মহকুমাশাসক, অতিরিক্ত জেলাশাসক-সহ প্রশাসনের কর্তারা। বৈঠক শেষে অজিত বলেন, ‘‘সিদ্ধান্ত হয়েছে, গোবরডাঙা গ্রামীণ হাসপাতালটি ইউসিএইচসি হিসেবে চালু করতে মুখ্যসচিব এবং স্বাস্থ্যসচিবের কাছে অতিরিক্ত জেলাশাসক (স্বাস্থ্য) চিঠি পাঠাবেন।’’ হাসপাতালটি জেলা পরিষদের অধীনে। অজিত জানিয়েছেন, হাসপাতালের জমি-সহ পরিকাঠামো যা আছে তা পুরসভাকে হস্তান্তর করে দেওয়া হবে। পুরপ্রধান বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর কথামতোই পুরসভার মাধ্যমে স্বাস্থ্য দফতর হাসপাতালটি ইউসিএইচসি হিসেবে চালু করবে। ৩০টি শয্যা থাকবে। ২৪ ঘণ্টা রোগী ভর্তির ব্যবস্থা থাকবে।’’
২০১৪ সালের নভেম্বর মাস থেকে ওই হাসপাতালে রোগী ভর্তি বন্ধ হয়ে যায়। বহির্বিভাগে খুঁড়িয়ে চলছিল। ২০২৩ সালের জানুয়ারি মাস থেকে তা-ও বন্ধ হয়ে যায়। অতিমারি-পর্বে হাসপাতালটিকে ‘করোনা হাসপাতাল’ হিসাবে ঘোষণা করে পরিকাঠামো তৈরি করা হয়েছিল। করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসা পরিষেবাও দেওয়া হয়েছিল। বাসিন্দারা আশায় ছিলেন, অতিমারি পর্ব কাটলে রাজ্য সরকার আবারও পূর্ণাঙ্গ হাসপাতাল হিসাবে সেটি চালু করবে। কিন্তু তা হয়নি।
এর আগে, ২০১৭ সালের মে মাসে ব্যারাকপুরে প্রশাসনিক সভায় গোবরডাঙার তৎকালীন পুরপ্রধান সুভাষ দত্ত হাসপাতালটি চালু করতে মুখ্যমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলেন। মুখ্যমন্ত্রী আপত্তি জানানোয় এলাকার মানুষ ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন। প্রতিবাদ মিছিল, বন্ধ, সভা চলতে থাকে। সোশ্যাল মিডিয়াতেও প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। গোবরডাঙার বাসিন্দাদের দাবি, ইউসিএইচসি হিসেবে নয়, স্টেট জেনারেল হাসপাতাল হিসেবে চালু করা হোক বন্ধ হাসপাতালটি।