‘হামলা’য় ধরা পড়েনি কেউ, ক্ষোভ সিপিএমে

বুধবার ত্রিকোণ পার্ক এলাকা থেকে সিপিএমের মিছিল শুরু হয়ে শহর পরিক্রমা করে। মহকুমার বিভিন্ন এলাকা থেকে হাজারখানেক সিপিএম নেতা-কর্মী মিছিলে পা মেলান।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বনগাঁ শেষ আপডেট: ২০ জুলাই ২০১৮ ০০:৫২
Share:

ফাইল চিত্র।

সিপিএম কর্মীদের উপরে হামলার ঘটনায় এখনও কেউ গ্রেফতার না হওয়ায় ক্ষোভ জমেছে সিপিএম নেতা-কর্মীদের মধ্যে।

Advertisement

তৃণমূলের লোকজন ওই হামলার ঘটনায় জড়িত বলে অভিযোগ তুলে সিপিএম বুধবার দুপুরে বনগাঁয় প্রতিবাদ মিছিল করে। বনগাঁর প্রাক্তন বিধায়ক তথা সিপিএমের জেলা কমিটির সদস্য পঙ্কজ ঘোষ জানান, ১১ জুলাই বাগদার আমডোব এলাকা থেকে ৯ জন সিপিএম কর্মী বনগাঁ আদালতে আত্মসমর্পণ করতে এসেছিলেন। অভিযোগ, আদালত থেকে ফেরার পথে তৃণমূলের লোকজন তাঁদের তাড়া করে। ৪ জন পালিয়ে যান। প্রাণ বাঁচাতে ৫ জন আদালত-সংলগ্ন এক আইনজীবীর বাড়িতে আশ্রয় নেন। পুলিশ এসে তাঁদের উদ্ধার করে গাড়িতে তোলার সময়ে তৃণমূলের লোকজন তাঁদের ছিনিয়ে নিয়ে মারধর করে। রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

তৃণমূল অবশ্য এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে। বনগাঁর তৃণমূলের সভাপতি শঙ্কর আঢ্য বলেন, ‘‘১১ জুলাই এমন কোনও ঘটনা ঘটেছে বলে আমাদের জানা নেই। সম্পূর্ণ মিথ্যা অভিযোগ। আমাদের কেউ কাউকে মারধর করেনি।’’

Advertisement

শঙ্করবাবুর দাবি, পঞ্চায়েত ভোটের দিন আমডোব এলাকায় সিপিএমের দুষ্কৃতীরা তাঁদের কর্মী-সমর্থকদের মারধর করে। কয়েকজন আহত হয়েছিলেন। পুলিশ ওই অভিযোগে দুষ্কৃতীদের গ্রেফতার করেছে।

বুধবার ত্রিকোণ পার্ক এলাকা থেকে সিপিএমের মিছিল শুরু হয়ে শহর পরিক্রমা করে। মহকুমার বিভিন্ন এলাকা থেকে হাজারখানেক সিপিএম নেতা-কর্মী মিছিলে পা মেলান।

সিপিএম নেতৃত্বের দাবি, পঞ্চায়েত ভোটের দিন বাগদার আমডোব এলাকায় শাসকদলের লোকজন ভোট লুঠ করার চেষ্টা করলে সিপিএমের লোকজন প্রতিরোধ করে। তাই তাদের মিথ্যে অভিযোগে ফাঁসিয়ে গ্রেফতার করা হচ্ছে। কিন্তু হামলার ঘটনায় কেউ ধরা পড়েনি। পঙ্কজবাবু বলেন, ‘‘নরেশ ঘোষ-সহ যে ৯ জন ১১ জুলাই বনগাঁ আদালতে আত্মসমর্পণ করতে গিয়েছিলেন, তাঁদের নামেও মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছিল। তাঁরা হাইকোর্টে অগ্রিম জামিনের আবেদন করেছিলেন। হাইকোর্ট তাঁদের নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করতে নির্দেশ দেয়। সে কারণেই ওঁরা আদালতে এসেছিলেন। আপাতত সকলে জেল হেফাজতে রয়েছেন।’’

বনগাঁর এসডিপিও অনিল রায় জানান, পুলিশ গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement