হয়রান: এ ভাবে যাতায়াত করলেন অনেকেই। ঢোলাহাটে ছবিটি তুলেছেন দিলীপ নস্কর।
২১ জুলাই সকালে ট্রেনে ভিড় থাকবে জানতেন। সে কারণেই বনগাঁ শহরের বাসিন্দা এক মহিলা ভেবেছিলেন, বাসে করেই কর্মস্থল বারাসত যাবেন। সেই মতো তিনি এ দিন সকাল ৮টা নাগাদ বনগাঁ নিউ মার্কেট এলাকায় আসেন। সেখান থেকে বনগাঁ-দক্ষিণেশ্বর রুটের বাস ছাড়ে।
সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত অপেক্ষা করে মহিলা একটি বাসেরও দেখা পাননি। শেষে ভ্যানে চেপে বনগাঁ স্টেশন গিয়ে সেখান থেকে ট্রেন ধরে বারাসত রওনা দিলেন। বললেন, ‘‘সারা বছর ট্রেনেই যাতায়াত করি। কিন্তু ২১ জুলাই সকালে প্রতি বছরই ট্রেনে প্রচণ্ড ভিড় হয়। সেই ভিড় এড়াতে ভেবেছিলাম, এ বার বাসে যাব। কিন্তু একটা বাসও পেলাম না। শেষ পর্যন্ত ট্রেনেই যেতে হল। অফিস পৌঁছতেও দেরি হয়ে গেল।’’
এ দিন সকালে বনগাঁ-দক্ষিণেশ্বর রুটে কোনও বাস চলেনি। বহু মানুষ বাস ধরতে এসে ফিরে যান। বনগাঁ থেকে কলকাতার দিকে যাওয়ার অন্যতম প্রধান বনগাঁ-দক্ষিণেশ্বর রুট। (ডিএন-৪৪)। ‘বাস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন’ সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন রুটের ৩২টি বাস গাইঘাটা ও খোলাপোতা গিয়েছিল। সেগুলি তৃণমূল ভাড়ায় নিয়েছিল। সকাল ১০টা নাগাদ নিউ মার্কেট এলাকায় গিয়ে দেখা গেল, স্ট্যান্ডে কোনও বাস নেই। সংঠনের সভাপতি তুহিন ঘোষ বলেন, ‘‘আমরা চেষ্টা করছি রুটে দ্রুত কয়েকটি বাস চালাতে।’’
ওই রুটটি বাদ দিলে, মহকুমায় যান চলাচল এমনিতে স্বাভাবিক ছিল। বাস, অটো বা অন্য যানবাহন মিলেছে। এ দিন তৃণমূল কর্মী-সমর্থকেরা মূলত সকালের দিকে ট্রেন ধরে কলকাতার দিকে গিয়েছেন। সকাল সাড়ে ৯টার পরে ট্রেনে তেমন ভিড় ছিল না। অবশ্য সকালের দিকের ট্রেনগুলিতে প্রচুর ভিড় থাকায় কিছু মানুষ পরের দিকের ট্রেন ধরেছেন। এবং সে জন্য গন্তব্যে পৌঁছতে তাঁদের দেরিও হয়েছে। এক স্কুলশিক্ষিকা সাধারণত ৯টা ৫ মিনিটের বনগাঁ লোকালে হাবড়ায় কর্মস্থলে যান। এ দিন ওই ট্রেনটি ভিড় থাকায় তিনি তা ছেড়ে দেন। পরে ৯টা ২৫ মিনিটের বারাসত লোকালে রওনা দেন। এক বাংলাদেশি দম্পতিকে ভিড়ের জন্য পর পর দু’টি ট্রেন ছেড়ে দিতে দেখা গেল।
তবে হাবড়া, অশোকনগরে যানচলাচল স্বাভাবিকই ছিল। এখানকার বেশির ভাগ তৃণমূল কর্মী-সমর্থক ট্রেনে বা ব্যক্তিগত গাড়িতেই কলকাতা গিয়েছেন।