Eco Tourism Park

আড়াই কোটিতে ইকো ট্যুরিজ়ম পার্ক বনগাঁয়

প্রসেনজিৎ বলেন, ‘‘পঞ্চম রাজ্য অর্থ কমিশনের টাকায় প্রায় তিন একর জমিতে পার্কটি হচ্ছে। প্রাথমিক পর্যায়ে ৯০ লক্ষ টাকার কাজের দরপত্র ডাকা হয়েছে।

Advertisement

সীমান্ত মৈত্র  

বনগাঁ শেষ আপডেট: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ০৬:৪৬
Share:

মোল্লাহাটি গ্রামে এই মঠেই প্রস্তাবিত ইকো ট্যুরিজম পার্ক গড়ে ওঠার কথা। নিজস্ব চিত্র।

আড়াই কোটি টাকায় বনগাঁ শহর থেকে মাত্র সাড়ে ১২ কিলোমিটার দূরে গোপালনগরের মোল্লাহাটিতে তৈরি হতে চলেছে, ইকো ট্যুরিজ়ম পার্ক। অনেকে মনে করছেন, নীল চাষের ইতিহাসসমৃদ্ধ ওই এলাকায় পার্কটি তৈরি হয়ে গেলে পর্যটকদের নতুন একটি গন্তব্য তৈরি হবে। পাশাপাশি, আদিবাসী অধ্যুষিত ওই এলাকার মানুষের কাছে বিকল্প রোজগারের দরজাও খুলে যাবে।

Advertisement

বনগাঁ পঞ্চায়েত সমিতির তত্ত্বাবধানে পার্কটি তৈরি হতে চলেছে। সোমবার কাজের শিলান্যাস করেন বাগদার বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস। উপস্থিত ছিলেন, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ঝুম্পা দাস কর, সহ-সভাপতি জাফর আলি মণ্ডল, পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ প্রসেনজিৎ ঘোষ ও বিডিও কৃষ্ণেন্দু ঘোষ।

প্রসেনজিৎ বলেন, ‘‘পঞ্চম রাজ্য অর্থ কমিশনের টাকায় প্রায় তিন একর জমিতে পার্কটি হচ্ছে। প্রাথমিক পর্যায়ে ৯০ লক্ষ টাকার কাজের দরপত্র ডাকা হয়েছে। পার্কটি তৈরি হয়ে গেলে এলাকার অর্থনৈতিক মানচিত্র বদলে যাবে। মানুষ বিকল্প রোজগারের সুযোগ পাবেন। কর্মসংস্থান হবে।’’

Advertisement

পঞ্চায়েত সমিতি ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মোল্লাহাটি এলাকায় ব্রিটিশদের ডাকবাংলো রয়েছে। তার পাশে রয়েছে সেই আমলের নীল ভেজানোর চৌবাচ্চা। যা ‘নীল রথ’ নামে পরিচিত। কাছেই ইছামতী নদী। স্বাভাবিক ভাবেই মোল্লাহাটির আলাদা ঐতিহাসিক গুরুত্ব রয়েছে। একই সঙ্গে প্রাকৃতিক পরিবেশ মানুষকে মুগ্ধ করে। প্রস্তাবিত পার্কে থাকছে পাঁচটি কটেজ। দূরদুরান্ত থেকে মানুষ এসে সেখানে রাত্রিবাস করতে পারবেন। গোটা এলাকাটি পাঁচিল দিয়ে ঘেরা থাকবে। থাকবে প্রেক্ষাগৃহ, রেস্তরাঁ, বিনোদন পার্ক, সুইমিং পুল এবং চড়ুইভাতি করার জায়গা। শিশু থেকে বৃদ্ধ— সব বয়সি মানুষদের বিনোদনের ব্যবস্থা থাকছে। বিশেষ আকর্ষণ হিসাবে থাকবে ইছামতী নদীতে বোটিংয়ের ব্যবস্থা। ‘নীলদর্পণ’ নাটকের স্রষ্টা দীনবন্ধু মিত্র এবং বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাহিত্যসৃষ্টির উপর বিভিন্ন মডেল থাকবে।

কলকাতা থেকে সড়কপথে যশোর রোড ধরে বনগাঁ শহর বা শিয়ালদহ থেকে ট্রেনে বনগাঁ স্টেশনে পৌঁছে অটো, বাস বা অন্য যানবাহনে সরাসরি পৌঁছে যাওয়া যাবে মোল্লাহাটি। পার্কটি তৈরির কাজ শুরু হওয়ায় খুশি এলাকার বাসিন্দারা। তাঁরা জানিয়েছেন, দূরদূরান্ত থেকে লোকজন আসবেন। ফলে, দোকানপাট, হোটেল তৈরি হবে। বাডতি রোজগার হবে। যানবাহন রাখার ব্যবস্থা করেও রোজগার করা যাবে। প্রসেনজিৎ জানান, তাঁরা এক বছরের মধ্যে পার্ক তৈরির কাজ শেষ করে তা চালু করার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement