পরিবহণ ব্যবসার সঙ্গে জড়িয়ে বনগাঁ মহকুমার বহু মানুষের রুটি-রুজি। দেশের বৃহত্তম স্থলবন্দর এই মহকুমারই পেট্রাপোলে। ভিনরাজ্য থেকে বহু ট্রাক আসে। স্থানীয় বহু মানুষ ট্রাক ও ছোট গাড়ি পণ্য পরিবহণের কাজে যুক্ত। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ট্রাকে করে পণ্য নিয়ে আসতে হলে প্রয়োজন ‘ন্যাশনাল পারমিট’।
এত দিন বনগাঁ মহকুমার ট্রাক মালিক ও ছোট পণ্যবাহী গাড়ির মালিকদের বারাসতে পরিবহণ দফতরে গিয়ে ওই পারমিট সংগ্রহ করতে হত। এতে টাকা খরচ যেমন হত, সময়ও লাগত অনেক। এই সমস্যা এ বার দূর হতে চলেছে। এখন থেকে বনগাঁ পরিবহণ দফতর থেকেই ‘ন্যাশনাল পারমিট’ পেয়ে যাবেন গাড়ির মালিকেরা।
উত্তর ২৪ পরগনা জেলা আঞ্চলিক পরিহবণ সংস্থার সরকারি সদস্য গোপাল শেঠ জানান, এখন থেকে বাণিজ্যিক পণ্য পরিবহণের জন্য ন্যাশনাল পারমিট এবং গোটা রাজ্যে পণ্য পরিবহণের পারমিট বনগাঁ এআরটিও অফিস থেকেই পাওয়া যাবে। সোমবার ওই পরিষেবার উদ্বোধন করবেন পরিবহণ মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। সরকারি ঘোষণায় খুশি স্থানীয় ট্রাক মালিক থেকে শুরু করে অন্য পণ্য পরিবহণ গাড়ির মালিকেরা। বনগাঁ ট্রাক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক দিলীপ দাস বলেন, ‘‘এত দিন আমাদের বারাসতে গিয়ে ওই পারমিট সংগ্রহ করতে হত। ওই কাজের জন্য একাধিক দিন বারাসতে জেলা পরিবহণ দফতরের যেতে হত। টাকা, সময় দু’টোই খরচ হত। তারপরেও মাস তিনেক সময় লেগে যেত পারমিট পেতে। এখন আর সেই দুর্ভোগ থাকল না।’’
পরিবহণ দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে, রাজ্যে নতুন যে ২৪টি এআরটিও অফিস হয়েছে, তার মধ্যে বনগাঁতেই প্রথম পণ্যবাহী গাড়ির ন্যাশনাল পারমিট দেওয়ার কাজ শুরু হচ্ছে। আবেদনের ৯ দিনের মধ্যে পারমিট হাতে পাবেন গাড়ি মালিকেরা। আর সারা বাংলা পণ্য পরিবহণে পারমিট মিলবে আবেদনের ৭ দিনের মধ্যে। ন্যাশনাল পারমিট প্রতি ৫ বছর অন্তর পুনর্নবীকরণ করতে হয়। সে সব কাজের জন্য এখন থেকে আর বারাসতে ছুটতে হবে না।