Pradhan Mantri Awas Yojana

আবাস যোজনায় নাম প্রধানের স্বামীর, বিতর্ক

তিনতলা বাড়ি থাকা সত্ত্বেও আবাস যোজনার তালিকায় নাম রয়েছে প্রধানের স্বামী পলাশ বৈরাগীর। এই ঘটনায় পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও স্বজনপোষণের অভিযোগ তুলে সরব হয় বিরোধীরা।

Advertisement

সমরেশ মণ্ডল

কাকদ্বীপ শেষ আপডেট: ১৯ ডিসেম্বর ২০২২ ০৫:৩৭
Share:

আবাস যোজনায় নাম পেরধানের স্বামীর। — ফাইল চিত্র।

আমপানের ক্ষতিপূরণ-দুর্নীতিতে নাম জড়িয়েছিল পঞ্চায়েত প্রধানের। পরিবারের একাধিক সদস্যের নামে প্রধান ক্ষতিপূরণের টাকা তুলে নেন বলে সে সময়ে অভিযোগ উঠেছিল। এ বার আবাস যোজনা প্রকল্প নিয়েও বিতর্কে জড়িয়েছেন কাকদ্বীপের নারায়ণপুর পঞ্চায়েতের প্রধান তৃণমূলের চম্পা বৈরাগী।

Advertisement

অভিযোগ, তিনতলা বাড়ি থাকা সত্ত্বেও আবাস যোজনার তালিকায় নাম রয়েছে প্রধানের স্বামী পলাশ বৈরাগীর। এই ঘটনায় পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও স্বজনপোষণের অভিযোগ তুলে সরব হয় বিরোধীরা।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, কোনও ভাবেই ঘর পাওয়ার যোগ্য নন পলাশ। চোখ ধাঁধানো তিনতলা বাড়িতে থাকেন। মাছ ব্যবসায়ী পলাশের চারটি গাড়ি আছে। ট্রলার ব্যবসা আছে। কমপক্ষে ৫০ জন শ্রমিক তাঁর অধীনে কাজ করেন।

Advertisement

কাকদ্বীপ বিধানসভার বিজেপির আহ্বায়ক শম্ভুনাথ সামন্ত বলেন, “এলাকার গরিব মানুষ বাড়ি পাচ্ছেন না। অথচ, তালিকায় পঞ্চায়েতের প্রধানের স্বামীর নাম রয়েছে।”

স্থানীয় বাসিন্দারা অনেকেই এই প্রসঙ্গে আমপান পরবর্তী সময়ের কথা মনে করিয়ে দিচ্ছেন। অভিযোগ, সে সময়ে প্রধানের পরিবারের আটজন সদস্য ক্ষতিপূরণের ২০ হাজার করে টাকা পেয়েছিলেন।

প্রধানের অবশ্য দাবি, ২০১৮ সালে যখন আবাস যোজনার তালিকা তৈরি হয়েছিল, সে সময়ে তাঁর বাড়ির প্রয়োজন ছিল। কয়েক বছর প্রধান থেকে তাঁর ‘অবস্থা ফিরেছে।’

চম্পা বলেন, “২০১৮ সালে বাড়িটি প্রাকৃতিক দুর্যোগে ভেঙে যায়। তাই তালিকায় নাম তুলেছিলাম। এখন আমার আর্থিক অবস্থা ভাল, তাই আর বাড়ি লাগবে না। প্রধান হওয়ার পরে এই তিনতলা বাড়ি তৈরি করেছি।”

তিনি আরও বলেন, “আমার স্বামীর নাম তালিকায় দেখার সঙ্গে সঙ্গে বাদ দিতে বলেছি।”

তৃণমূলের কাকদ্বীপ ব্লক সভাপতি বিজয়কৃষ্ণ দাস বলেন, “এই প্রধান বার বার ভুল করছেন। আবাস যোজনা থেকে নাম বাদ দিয়ে দেওয়া হচ্ছে। আগামিদিনে দলের কোনও সাংগঠনিক দায়িত্বে প্রধানকে রাখা হবে না। আমরা পুরো বিষয়টি তদন্ত করে দেখছি।”

নামখানার বিডিও শান্তনু সিংহ ঠাকুর বলেন, নারায়ণপুর পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামীর নাম আবাস যোজনায় আছে জানতে পারি। প্রধানের সঙ্গে যোগাযোগ করলে উনি নিজে থেকে নাম তুলে নিয়েছেন।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement