অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। নিজস্ব চিত্র।
রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তার পাশে পড়েছিলেন এক পোস্টমাস্টার। দিন কয়েক হাসপাতালে চিকিৎসার পরে সোমবার রাতে মারা গিয়েছেন তিনি। দক্ষিণ ২৪ পরগনার হারউড পয়েন্ট কোস্টাল থানার তক্তিপুর আবাদ এলাকার ঘটনা। মৃতের নাম সুব্রত দাস (২৬)।
তাঁর মৃত্যুতে রহস্য দানা বেঁধেছে। প্রথমে পুলিশ মনে করেছিল, দুর্ঘটনায় জখম হয়েছেন সুব্রত। ৭ সেপ্টেম্বর তক্তিপুর ডাকঘরে কাজে যাবেন বলে বেরিয়েছিলেন তিনি। রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ কাকদ্বীপ ডাকঘরে আসার পথে, রাস্তার পাশ থেকে জখম অবস্থায় উদ্ধার করা হয় তাঁকে।
এক প্রতিবেশী তাঁকে দেখতে পান। কাকদ্বীপ মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় সুব্রতকে। পরে পাঠানো হয় এসএসকেএম হাসপাতালে।
সুব্রত কথা বলার মতো অবস্থায় ছিলেন না। পরিবারের দাবি, পরে তিনি চিকিৎসকদের লিখে জানান, শ্বাসরোধ করে খুনের চেষ্টা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার সুব্রতের দেহ ময়নাতদন্তের পরে গ্রামে ফেরে। এলাকায় উত্তেজনার পরিবেশ। সুব্রতের পরিবারের অভিযোগ, তাঁকে খুন করা হয়েছে। ডাকঘরের অন্য কর্মীরা তাতে জড়িত থাকতে পারেন বলে অনুমান পরিবারের।
আপাতত অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলে মৃত্যুর কারণ স্পষ্ট হবে বলে জানিয়েছেন তদন্তকারীরা।
দু’বছর আগে চাকরি পেয়েছিলেন সুব্রত। অবিবাহিত সুব্রত চার ভাইয়ের মধ্যে ছোট। তাঁর বৌদি সুমিত্রা দাস বলেন, ‘‘সকালে কাজে গিয়েছিল। ফেরার পথে কিছু একটা ঘটে। হাসপাতালের চিকিৎসক জানান, এটা দুর্ঘটনা নয়। আমাদের ধারণা, এর পিছনে ওর সহকর্মীরা জড়িত। সঠিক বিচার চাই।’’
সুন্দরবন পুলিশ জেলার সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘পরিবারের পক্ষ থেকে এখনও পর্যন্ত কোনও লিখিত অভিযোগ স্থানীয় থানায় হয়নি। যে হাসপাতালে মারা গিয়েছেন, সেই এলাকার থানায় অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে। আমাদের কাছে অভিযোগ এলে তদন্ত করা হবে।’’ তিনি জানান, মৃত্যুকালীন কোনও জবানবন্দি পুলিশের হাতে এসে পৌঁছয়নি।